প্রকাশ: ৯ আগস্ট ২০২৫, ১১:২৩
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলেও নির্বাচন ঘনিয়ে এলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। শনিবার সকালে রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, যখন একটি দেশে রাষ্ট্র, সরকার ও দল এক হয়ে যায়, তখন সবকিছু একসঙ্গে ধসে পড়ে। এ অবস্থায় নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা কমে যায়, যা ফেরানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ। মানুষের ভোটকেন্দ্রে আসা নিশ্চিত করাই নির্বাচন কমিশনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে দেশের নির্বাচনী পরিবেশে আস্থাহীনতা বিরাজ করছে। জনগণকে আবার ভোটকেন্দ্রে ফিরিয়ে আনা ছাড়া গণতন্ত্র শক্তিশালী করা সম্ভব নয়। এজন্য সব রাজনৈতিক পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তি সৃষ্টির বিষয়ে তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এটি একটি নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ, যা মোকাবিলায় নির্বাচন কমিশন কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গত নির্বাচনে যেসব প্রিজাইডিং অফিসার সমস্যার সৃষ্টি করেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম বা গাফিলতির জন্য কেউ ছাড় পাবে না।
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রসঙ্গে নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা ১৮ কোটি মানুষের হয়ে কাজ করব। কোনও রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির পক্ষে বা বিপক্ষে কমিশন কাজ করবে না। সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।
তিনি ভোটদানের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ভোট দেওয়া যেমন নাগরিক দায়িত্ব, তেমনি এটি ঈমানী দায়িত্বও। প্রত্যেক নাগরিকের উচিত ভোট দিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অংশ নেওয়া।
সিইসি আশ্বাস দিয়ে বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং এ লক্ষ্যেই সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।