প্রকাশ: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:২২
জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলেও প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে আরও সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী এবং কোস্টগার্ডও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আওতায় গণ্য হবে। এতে করে নির্বাচনের সময় নিরাপত্তা জোরদার হবে এবং শৃঙ্খলা রক্ষা সহজ হবে।
নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামায় যদি কোনো প্রকার মিথ্যা তথ্য পাওয়া যায় এবং তা নির্বাচনের পাঁচ বছরের মধ্যে প্রমাণিত হয়, তবে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাবে। এ বিধান প্রার্থীদের আরও দায়িত্বশীল করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, এবার থেকে ‘না’ ভোটের বিধান কেবল একক প্রার্থীর আসনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ, একাধিক প্রার্থী থাকলে ‘না’ ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। এর ফলে ভোটারদের অংশগ্রহণ আরও স্বতঃস্ফূর্ত হবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি আরও স্পষ্ট করেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার কোনো সুযোগ থাকছে না। প্রতিটি আসনেই ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচিত হবেন। এটি নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করবে।
সানাউল্লাহ বলেন, নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা আরও বাড়ানো হয়েছে। ফলাফল বাতিলের ক্ষেত্রে কমিশনের কর্তৃত্ব পুনর্বহাল করা হয়েছে। এর ফলে কোনো ধরনের অনিয়ম ধরা পড়লে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জোর দিয়ে বলেন, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই নির্বাচন কমিশনের মূল লক্ষ্য। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকেও নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে একটি মডেল নির্বাচন। জনগণের আস্থা অর্জন করতে এই নির্বাচনে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে।