সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫২৭ শ্রাবণ, ১৪৩২
logo
ENকনভার্টার
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
    • বিশ্বকাপ
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্যান্য খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
    • আইন-আদালত
    • সাহিত্য
    • প্রবাস জীবন
    • কৃষি
    • বাংলাদেশে করোনা
    • গনমাধ্যম
    • আবহাওয়া
    • জাতীয় সংসদ নির্বাচন
    • ভাইরাল টপিক
    • অর্থনীতি
    • ব্যবসা ও বাণিজ্য
    • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
    • অপরাধ
    • স্বাস্থ্য
    • ধর্ম
    • বন্যা পরিস্থিতি
    • জনদুর্ভোগ
    • প্রতিবেশী
    • পর্যটন
    • মজার খবর
    • শিক্ষা
    • শেয়ার বাজার
    • চাকুরী
    • লাইফস্টাইল
অনুসন্ধান
logo
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
  • অনুসন্ধান করুন
  • সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা
Logo

সম্পাদক : মোঃ শওকত হায়দার (জিকো)

প্রকাশক : ইনিউজ৭১ মিডিয়া লিমিটেড

হাউজ: নাম্বার ৫৫ , দ্বিতীয় তলা, রোড নাম্বার ৬/এ , সেক্টর - ১২ উত্তরা, ঢাকা - ১২৩০ ।

ফোন: +880 258 053 897, ইমেইল: [email protected] , [email protected]

গোপনীয়তার নীতি

ব্যবহারের শর্তাবলি

যোগাযোগ

আমাদের সম্পর্কে

আমরা

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

স্বত্ব © ইনিউজ৭১.কম

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জাতীয়

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে যত দুর্নীতি ও অনিয়ম

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:১৪

শেয়ার করুনঃ
বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে যত দুর্নীতি ও অনিয়ম
বরিশাল
https://enews71.com/storage/ads/01JR36BQSKCPE69WB8Z3TARXE3.jpg

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

https://enews71.com/storage/ads/01JR3CX28Y9BM01PRE4TXCNDWF.jpg

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে ‘রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ’। কারাগার কর্তৃপক্ষও দাবি করছেন, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রতিটি বন্দীকে কঠোর অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে দেখানো হয় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার পথ। তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। কারাগারের বন্দী যারা জামিনে কিংবা খালাস হয়ে মুক্ত হয়েছেন তাদের কাছ থেকে পাওয়া এমন তথ্যই মিলছে। তারা দাবী করেন কেউ যদি বরিশাল কারাগারে আসেন তবে সে আর কখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আগ্রহী হবেন না। কেননা দুর্নীতি কাকে বলে তা স্বচক্ষে না দেখলে কাউকে বিশ্বাস করানো সম্ভব নয়।

অনুসন্ধানে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, কারাগার কর্তৃপক্ষ সব সময়ই সংবাদকর্মীদের এড়িয়ে চলেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করেন। তাইতো গতকাল শনিবার কারাগারের গম চুরি করে বিক্রির ছবি সংগ্রহ করায় যুগান্তর পত্রিকার বরিশালের ফটো সাংবাদিক শামীম আহম্মেদকে কারা অভ্যন্তরে নিয়ে নির্মমভাবে মারধর করে খোদ জেলারের সামনেই। সূত্রে জানা যায়, বরিশাল ছিল এক সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকা। তাই এখানে নির্জন কারাবাসে পাঠানো হতো ভয়ঙ্কর অপরাধীদের। ১৮২৯ সালে ২০ দশমিক ৩ একর জমির ওপর বরিশালে কারাগার নির্মাণ করা হয়। পরে ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এটি বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে ঘোষণা করে তৎকালীন সরকার। তবে জেলা কারাগার থেকে কেন্দ্রীয় কারাগার করা হলেও সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি একাংশও।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, একজন হাজতি কারা গেট থেকে প্রবেশের পর থেকেই শুরু হয় কারাকর্তৃপক্ষের অর্থ আদায়ের সূচনা। এরপর জামিনে বের হওয়া পর্যন্ত হাজতিদের নিয়ে চলে তাদের অর্থ বাণিজ্য। এরপর ধাপে ধাপে অর্থাৎ নামের ভুল, আমদানি, ওয়ার্ড, খাবার, গোসল, ক্যান্টিন, হাজতিদের টাকা, দেখার ঘর ও মেডিকেল সব ক্ষেত্রেই শুধু টাকা আর টাকা। পুরো কারাগারজুড়েই চলছে টাকার খেলা আর জমজমাট মাদক ব্যবসা। যার যত টাকা ও প্রভাবশালী, কারাগারের ভিতরে তার ততই দাপট। মাদকের রমরমা বাণিজ্যও হয় জেলখানার ভেতরে। টাকাওয়ালারা ঘরের ন্যায় জেলখানাতেও বসবাস করেন আরাম আয়েশে। আর যাদের টাকা নেই তাদের কারা কর্তৃপক্ষের কতিপয় ব্যক্তির নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তবে কারাগারের বাইরে এসব ঘটনা সহসা প্রকাশ করেন না কেউ। কারণ বেশিরভাগ হাজতিই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, মাদক সংশ্লিষ্ট অথবা অপরাধী হওয়ায় তাদের বারবার যেতে হয় কারাগারে।

আরও

মালয়েশিয়া সফরে প্রধান উপদেষ্টার বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সম্পর্ক জোরদার পরিকল্পনা

মালয়েশিয়া সফরে প্রধান উপদেষ্টার বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সম্পর্ক জোরদার পরিকল্পনা

হাজতিদের কারাগারে প্রবেশের আগে তাদের নাম, বাবার নাম ও ঠিকানা একটি খাতায় লিপিবদ্ধ করেন কারাগারের কতিপয় কর্মকর্তা। ওই খাতার নাম হলো ‘পিসি বই’। হাজতি মুখে তার পরিচয় সঠিক বললেও লেখার সময় অনেকটাই ইচ্ছে করে পিসি বইতে ভুল তথ্য লেখা হয়ে থাকে। একজন হাজতির নাম যদি হয় ‘মিজানুর রহমান’ কারা কর্তৃপক্ষ তার নাম লিখবে ‘মিজানুর বহমান’। আদালত থেকে তার জামিন মঞ্জুর হলেও ‘র’ ও ‘ব’ এর বেড়াজালে আটকে দেয়া হয় ওই হাজতিকে। গেটের দায়িত্বে থাকা কারারক্ষীকে পাঁচশ’ থেকে এক হাজার টাকা দিলেই ‘ব’ আবার ‘র’ হয়ে যায়। কেউ টাকা দিতে না পারলে জামিন আদেশের পরও তাকে কমপক্ষে একদিন অতিরিক্ত জেলহাজতে থাকতে হয়। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এসব কথা জানিয়েছেন হয়রানির শিকার কয়েক হাজতি।

তারা (হাজতি) আরও জানান, আমদানিতে একদিন রাখার পর হাজতিদের অপরাধ অনুযায়ী বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেখানেও টাকা। অনেক অপরাধী এক জায়গায় বসবাস করায় প্রায়ই হাজতিতের মধ্যে মারামারি বাধে। মারামারি করার অপরাধে তাদের কেস টেবিলে (কারাগারের বিশেষ বিচার ব্যবস্থা) হাজির করা হয়। তবে কারাগারের কতিপয় অসাধু সুবেদার, জমাদার ও সিআইডিদের টাকা দিলে পার পেয়ে যায় প্রকৃত অপরাধী। এর প্রেক্ষিতে উল্টো শাস্তি পেতে হয় নিরাপরাধীকে। ফলে কারাগারে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরাধ প্রবণতা। সূত্রে আরও জানা গেছে, একটু ভালভাবে গোসল করার জন্যও টাকা গুনতে হয় কারাগারের বন্দীদের। প্রতিবার গোসল করার জন্য যারা ৫০ থেকে ৬০ টাকা দিতে পারছেন শুধু তারাই পাম্পে বা বিভিন্ন সেলের সামনে গোসল করার সুযোগ পাচ্ছেন।

কারাগারের অভ্যন্তরে নগদ টাকা বহন করা বড় ধরনের অপরাধ। তাই বাইরে থেকে কেউ টাকা দিতে চাইলে ব্যাংক হিসেবের ন্যায় পিসি বইতে টাকা জমা হয়। কারো টাকার প্রয়োজন হলে পিসি বইয়ের মাধ্যমে ক্যান্টিন থেকে লেনদেন করা হয়ে থাকে। আর এখানেই হলো আসল দুর্নীতি। কেউ ১০০ টাকা চাইলে তাকে দেয়া হয় ৯০ টাকা। বাকি ১০ টাকা কমিশন বাবদ কেটে রাখা হয়। যদিও টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে জেলার বলেছেন, এ ১০ টাকা পিসি বই তৈরি করার জন্য নেয়া হয়। এমন নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার পিসি বই তৈরি করার জন্য কোন টাকা বরাদ্দ না দেয়ায় তারা এই টাকাটা নিয়ে থাকেন।

বন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসা স্বজনরা সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন দেখা করার ঘরে। তবে টাকা থাকলে সেখানেও রয়েছে স্বস্তি। হাজতি বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসা আব্দুর রহমান জানান, আমার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সেখানে সিরিয়ালের অজুহাতে প্রায় তিন ঘণ্টা বসে থেকেও দেখা করতে পারিনি। যখন এক কারা সদস্যকে তিনশ’ টাকা দিলাম সে সঙ্গে সঙ্গেই দেখা করিয়ে দিল। তিনি আরও বলেন, এমন দৃশ্য যে কেউ সেখানে দাঁড়িয়ে থাকলেই প্রতিনিয়ত দেখতে পারবেন। অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, এ টাকাটা সংগ্রহ করেন জনৈক এক কারারক্ষী। সরেজমিনে দেখা গেছে, স্পেশালভাবে কারাগারে থাকা স্বজনের সঙ্গে দেখা করার জন্য কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে গেলেই ওই কারারক্ষীর হাতে পাঁচশ’ টাকা গুজে দিলেই ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়া হয় দেখা করার জন্য।

আরও

আর্থিক স্থিতিশীলতার মধ্যেও রাজনীতিতে অস্থিরতা, বিনিয়োগে সংকট অব্যাহত

আর্থিক স্থিতিশীলতার মধ্যেও রাজনীতিতে অস্থিরতা, বিনিয়োগে সংকট অব্যাহত

সূত্রমতে, কারাগারের সবচেয়ে বেশি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে মেডিক্যালে। কারাবিধি অনুযায়ী যে রোগী আগে যাবেন তিনি মেডিক্যালে সিট পাবেন কিন্তু সেখানে চলে এর উল্টো। টাকার বিনিময়ে সুস্থদের সিট পাইয়ে দেয়া হয়। আর প্রকৃত অসুস্থরা থাকেন মেঝেতে। তবে কারা পরিদর্শকদল পরিদর্শনে গেলে অসুস্থদের বেডে রাখা হয় কিন্তু তারা চলে গেলে পূর্বের নিয়ম চালু হয়। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মেডিক্যালে ১৫ দিন থাকার জন্য ১৫শ’ টাকা এবং এক মাস থাকার জন্য ২৫শ’ টাকা দিতে হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক হাজতি জানিয়েছেন, যে কেউ দিব্যি সুস্থ হয়েও অসুস্থতার সার্টিফিকেট নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন। সেখানে বসে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা, খাওয়া-দাওয়া এবং মোবাইল ফোনে কথা বলার অপার সুযোগ পাচ্ছেন। কতিপয় কারা চিকিৎসকের সঙ্গে আঁতাত করে সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করে দেয় দালালরা। ওই সার্টিফিকেটের জন্য প্রতিজন বন্দীকে দিতে হয় এক থেকে দুই হাজার টাকা।

এ বিষয়ে জেলারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে কারা মেডিক্যালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ভাল বলতে পারবেন। পরে কারা মেডিক্যালের দায়িত্বরত চিকিৎসকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অভিযোগ রয়েছে, প্রতি মাসে শুধু মেডিক্যাল থেকে আয় হয় তিন থেকে চার লাখ টাকা। চিকিৎসকও এর একটি অংশ পেয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সূত্রমতে, কারাগারের অভ্যন্তরে অবাধেই মিলছে ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য। কারাগারে বিক্রি হওয়া মাদকের বাইরেও রয়েছে ঘুমের ট্যাবলেটের ব্যবস্থা। কারা অভ্যন্তরে কতিপয় কারারক্ষীরা এসব মাদকদ্রব্য সরবরাহ করছেন বলেও নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানিয়েছে। তবে কারাগার থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনাও ঘটেছে ইতোপূর্বে কয়েকবার। বিশেষ করে কতিপয় সিআইডি ও মেডিক্যাল চিফ রাইটারের মাধ্যমে মাদক সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে। কারণ সিআইডি সদস্যদের গেটে তল্লাশি করা হয় না। তাই কোন প্রকার বাধা ছাড়াই কারা অভ্যন্তরে মাদক প্রবেশ করান কতিপয় অসাধু সদস্যরা। তবে মাদকের বিষয়টি জেলার সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।

https://enews71.com/storage/ads/01JQ184AJV9F0T856X9BBSG85X.gif

সূত্রে আরো জানা যায়, কারাগারের অভ্যন্তরে ব্যক্তিগত মোবাইলও অবৈধভাবে ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। কারাগারে এই মোবাইলের সাংকেতিক নাম ‘ময়না পাখি’। মোবাইলের মালিক নিজেও ব্যবহার করেন এবং ভাড়াও দেন। ফলে ভিতরের সব খবরা-খবর এক নিমেষেই বাহিরে চলে যায়। অভিযোগ রয়েছে, যেসব সন্ত্রাসী কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে, তারা বাইরের অপরাধ জগতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছে মোবাইলের মাধ্যমে। যার ফলে যে কোন অপরাধ কর্মকা-সহ মাদক ব্যবসা নির্বিঘেœ পরিচালনা করতে সক্ষম হয় তারা কারাগারে বসেই।

জানা গেছে, কারাগারের সব দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে খোঁজ খবর রাখার জন্য ডিআইজি প্রিজনের পক্ষ থেকে একজন সিআইডি সদস্য রয়েছেন বরিশাল কারাগারে। তবে ডিআইজির কাছে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের বড় বড় দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা গোপন রাখা হয়। ফলে কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আঁতাত করে এখান থেকে প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা পাচ্ছেন দায়িত্বরত কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা। যে সব কয়েদি কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে থাকেন তারাই রাজত্ব করেন কারাগারজুড়ে। আর যারা কারা কর্তৃপক্ষের মন জোগাতে ব্যর্থ হন, তাদের সইতে হয় নির্যাতন। আর তাদের কাজ করতে হয় ফুলের বাগান, সুইপার চালি, তাঁত চালি বা রান্না ঘরে।

একাধিক বন্দীরা জানান, খাবারের তালিকায় মাছের যে সাইজ উল্লেখ থাকে তা কখনই দেয়া হয় না। তালিকায় ইলিশ, রুই, কাতলসহ বিভিন্ন মাছ খাওয়ানোর কথা থাকলেও প্রায় প্রতিদিনই দেয়া হয় পুকুরে চাষ করা পাঙ্গাস মাছ। আর যে মাংস খাওয়ানো হয় তাও পরিমাণে খুব কম। তবে টাকার বিনিময়ে ক্যান্টিন থেকে চড়া মূল্যে মাছ ও মাংস কিনে খেতে পারেন বন্দীরা। তাই যাদের সামর্থ্য আছে তারাই কারাগারে বসে ভাল-মন্দ কিনে খেতে পারেন। সদ্য জেল থেকে বের হওয়া কয়েকজন হাজতি জানান, জেলখানার খাবারের মান খুবই নিম্নমানের। বন্দীদের সংখ্যা বেশি দেখিয়ে অতিরিক্ত খাবার বরাদ্দ নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। পরে তা বাইরে বিক্রি করে দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, জেলখানার ময়লা নিস্কাশনের জন্য ড্রেনে গেলেই দেখা যাবে প্রতিদিন কি পরিমান খাবার খালের পানিতে ফেলে দেয়া হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, কারাগারের প্রধান গেট থেকেই ভিতরে প্রবেশ করে এসব নিম্নমানের খাবার। খাবার ভিতরে প্রবেশ করানোর সময় নিম্নমানের অভিযোগ তুলে তা অনেক সময় গেটে আটকে দেন গেট ইনচার্জ। এ নিয়ে চলে খাবার সরবরাহকারী ও গেট ইনচার্জের দেনদরবার। পরবর্তীতে রহস্যজনক কারনে ওই খাবারই ভালমানের হিসেবে কারাগারের ভিতরে প্রবেশ করানো হয়। আরেকটি চা ল্যকর তথ্য হলো বিভিন্ন সরকারি দিবস বা ঈদ-কোরবানীতে বন্দিদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়ে থাকে। কারাঅভ্যন্তরে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এজন্য সরকার থেকে আলাদা বরাদ্ধ থাকলেও বন্দিদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করে কর্তৃপক্ষ। আলী হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, একটি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি ছিলেন তিনি। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় আদালত তাকে মামলা থেকে রেহাই দিয়েছেন।

মামলার সুবাদে কিছু দিন কারাগারে থাকতে হয়েছে তাকে। আলী হোসেন বলেন, “ঈদের সময় জেলখানায় গান-বাজনার আয়োজন করা হয়। এজন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০ থেকে দুইশ টাকা পর্যন্ত চাঁদা তুলে কারারক্ষীরা। আর যারা চাঁদা দিতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের গালমন্দসহ মারধরও করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নামের ভুলসংশোধনী, আমদানি, ওয়ার্ড, গোসল, খাবার, ক্যান্টিন, হাজতিদের টাকার কমিশন, দেখার ঘর, মেডিক্যাল সবমিলিয়ে প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা উপার্জন হয় অবৈধভাবে। অভিযোগ রয়েছে- জেলার, ডেপুটি জেলার থেকে শুরু করে হাসপাতালের চিকিৎসক, সুবেদার, কারারক্ষীরা এ টাকার ভাগ পাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খোঁজ খবর না নেয়ায় কারাগারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি পাহাড়সহ হয়ে উঠেছে।

কারাগারের ভেতর ও বাইরের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জেলার মোঃ ইউনুস জামান বলেন, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে যে জনবল রয়েছে তা ৬৩৩ বন্দীর জন্য কিন্তু কারাগারে প্রায় দ্বিগুণ বন্দী রয়েছেন। তাই এখানকার নিরাপত্তা জোরদার করতে আরও কারারক্ষী প্রয়োজন। উল্লেখ্য, ১৮২৯ সালে ২০.৩ একর জমির ওপর বরিশালে কারাগার নির্মাণ করা হয়। পরে ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এটিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। 

ইনিউজ ৭১/এম.আর

সর্বশেষ সংবাদ

হাকিমপুরে আনসার ভিডিপির উদ্যোগে ব্যাপক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

হাকিমপুরে আনসার ভিডিপির উদ্যোগে ব্যাপক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

তাপমাত্রার দাপটের মধ্যেই স্বস্তির বৃষ্টি, কিছু অঞ্চলে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা

তাপমাত্রার দাপটের মধ্যেই স্বস্তির বৃষ্টি, কিছু অঞ্চলে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা

ফ্রান্সে দীর্ঘমেয়াদি অভিবাসী আটক আইন বাতিল, স্বীকৃত হলো মানবাধিকার

ফ্রান্সে দীর্ঘমেয়াদি অভিবাসী আটক আইন বাতিল, স্বীকৃত হলো মানবাধিকার

তুরস্কে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ১, বহু ভবন ধ্বংস

তুরস্কে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ১, বহু ভবন ধ্বংস

দুর্বল ব্যাংকগুলো টিকিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ সহায়তার ঘোষণা

দুর্বল ব্যাংকগুলো টিকিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ সহায়তার ঘোষণা

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার পাঠ হবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’

জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার পাঠ হবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’

দেবীদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১২ শহীদের গৌরবগাঁথা

দেবীদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১২ শহীদের গৌরবগাঁথা

নির্বাচনের পূর্বে এসপি-ওসি বদলিতে লটারি, আসছে স্বচ্ছতা

নির্বাচনের পূর্বে এসপি-ওসি বদলিতে লটারি, আসছে স্বচ্ছতা

ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণা: নির্বাচন কমিশনার

ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণা: নির্বাচন কমিশনার

ভোটের খরচ নিয়ে সরকারের স্পষ্ট ঘোষণা, যা প্রয়োজন তা-ই বরাদ্দ!

ভোটের খরচ নিয়ে সরকারের স্পষ্ট ঘোষণা, যা প্রয়োজন তা-ই বরাদ্দ!

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

দুর্বল ব্যাংকগুলো টিকিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ সহায়তার ঘোষণা

দুর্বল ব্যাংকগুলো টিকিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ সহায়তার ঘোষণা

বাংলাদেশের ব্যাংকখাতে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপশাসনের কারণে দেশের অর্থনীতি প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সাধারণ গ্রাহকরা এর প্রভাব অনুভব করছেন। এক বছরের মধ্যে নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নিয়ে ব্যাংকখাত সংস্কারে কাজ শুরু করেন এবং এর ফলে ব্যাংকগুলোর ভয়াবহ বাস্তবতা সামনে আসে। বর্তমানে চিহ্নিত এক ডজন দুর্বল ব্যাংকের মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি, গ্লোবাল, ইউনিয়ন, সোশ্যাল ইসলামী ও এক্সিম ব্যাংকের সম্পদ মূল্যায়ন

মালয়েশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

মালয়েশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে তিন দিনের সরকারি সফরে আজ সোমবার মালয়েশিয়া যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সফরে প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, হালাল খাদ্যসহ বিভিন্ন খাতে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক এবং তিনটি নোট বিনিময়ের কথা রয়েছে। রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে থাকবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানবিষয়ক উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও

অভ্যুত্থানে লুট হওয়া পুলিশের অস্ত্র উদ্ধারে তথ্যদাতা পাবে পুরস্কার

অভ্যুত্থানে লুট হওয়া পুলিশের অস্ত্র উদ্ধারে তথ্যদাতা পাবে পুরস্কার

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া পুলিশের অস্ত্র উদ্ধারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য সরকার পুরস্কার ঘোষণা করতে যাচ্ছে। রোববার (১০ আগস্ট) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, "আমাদের যে হাতিয়ারগুলো হারিয়ে গেছে, সেগুলো উদ্ধারের জন্য আমরা একটি সার্কুলার দেব। তথ্য দেবে যে কেউ, তাকে আমরা

পালিয়ে থাকা ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক ফেরত

পালিয়ে থাকা ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক ফেরত

সরকার ৪০ জন পুলিশ সদস্যের পুলিশ পদক প্রত্যাহার করেছে, যারা কর্মস্থল থেকে পালিয়ে ছিলেন এবং বর্তমানে বিভাগীয় ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব তৌছিফ আহমেদের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। পুলিশ পদক প্রত্যাহার ছাড়াও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, সাবেক পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ১০৩ কর্মকর্তার বিপিএম ও পিপিএম

আর্থিক স্থিতিশীলতার মধ্যেও রাজনীতিতে অস্থিরতা, বিনিয়োগে সংকট অব্যাহত

আর্থিক স্থিতিশীলতার মধ্যেও রাজনীতিতে অস্থিরতা, বিনিয়োগে সংকট অব্যাহত

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দেশের আর্থিক খাতে কিছুটা স্থিতিশীলতা এসেছে, কিন্তু রাজনৈতিক খাতে এখনও অস্থিরতা বিরাজ করছে। রাজনীতি ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনিশ্চিত থাকার কারণে এখনই কেউ বিনিয়োগে ঝাঁপিয়ে পড়বে এমন প্রত্যাশা বাস্তবসম্মত নয়। রাজধানীর গুলশানে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। গভর্নর আরও জানান, বিনিয়োগের দিক থেকে পাইপলাইনে ইতিবাচক সংকেত দেখা যাচ্ছে, তবে