প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৫, ১১:৩৭
তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বালিকেসির প্রদেশে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, যার ফলে অন্তত একজন নিহত ও বহু ভবন ধ্বংস হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় এই ভূমিকম্পটি ইস্তাম্বুলসহ আশেপাশের এলাকায় অনুভূত হয়।
বালিকেসির জেলার সিন্দিরগি শহরেই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল হওয়ায় সেখানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে ৮১ বছর বয়সী এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও পরে তার মৃত্যু হয়। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া জানান, কমপক্ষে ১৬টি ভবন ধ্বংস হয়েছে এবং ২৯ জন আহত হয়েছেন।
ভূমিকম্পটির কারণে বিশাল ধ্বংসস্তূপ সৃষ্টি হয়েছে যা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত কাজ করে যাচ্ছে এবং নতুন কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বলেন, দেশকে সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করার জন্য প্রার্থনা করছি। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বিষয়ে অবগত করেছেন।
তুরস্ক ভূমিকম্প প্রবণ একটি দেশ হিসেবে পরিচিত। দেশটি তিনটি প্রধান টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ার কারণে প্রায়ই ভূমিকম্পের কবলে পড়ে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল।
সেই বিধ্বংসী ভূমিকম্পের দুই বছর কাটলেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্পের তীব্রতা এখনও অনুভূত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন, তুরস্কের ভূমিকম্প ঝুঁকি নিরসনে আরও আধুনিক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
স্থানীয়রা বর্তমানে ধ্বংসস্তূপের নিচে ফেঁসে থাকা লোকজন উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী দ্রুত পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
বর্তমান ভূমিকম্পের প্রভাবে অঞ্চলটিতে ভবিষ্যতে আর কোনো বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়াতে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
তুরস্কের জনগণ আবারও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলায় একত্রিত হয়ে কাজ করছে, যাতে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা যায় এবং দ্রুত পুনর্গঠন সম্ভব হয়।