জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিনি ছিলেন বাংলার অবিসংবাদিত নেতা। যার জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন একটি দেশে বাস করতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধু শান্তি চেয়েছেন, তিনি এদেশের মানুষের শান্তি রচনা করে গেছেন। জুলিও কুরি শান্তি পদক তারই প্রমান।
তিনি আরও বলেন, যারা দেশের মানুষের শান্তি চায়না, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন তার বাবার পথে দেশের মানুষের শান্তি ও কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন এখনো সেই চক্রান্তকারীরা দেশের শান্তিকে বিনষ্ট করতে দেশ বিদেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আগামীতে আওয়ামিলীগ সরকার গঠন করে জনগনের কল্যানে কাজ করে যাবে ইনশাল্লাহ।
কুমিল্লার দেবীদ্বারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের 'জুলিও কুরি' শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে সুলতানপুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে রবিবার(২৮ মে) বিকেলে উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদ এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে শান্তি পদক জুলিও কুরি পান জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেনশিয়াল কমিটির সভায় ১৪০টি দেশের প্রায় ২০০ সদস্যর উপস্থিতিতে তাঁরা সবাই একমত হয়েছিলেন, সারা জীবনের দর্শন আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কত্বের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদক প্রদান করার। সে বিবেচনায় বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর পদকপ্রাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করে। আর পরের বছর ২৩ মে এশীয় শান্তি সম্মেলনের এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে সেই পদক বঙ্গবন্ধুকে পরিয়ে দেন পরিষদের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল রমেশচন্দ্র।
সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান বাবুল, বরকামতা ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম, গুনাইঘর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মুকবল হোসেন মুকুল, ভানী ইউপি চেয়ারম্যান হাজী জালাল ভূইয়া, সুবিল ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার মুকুল ভূইয়া, রাজামেহার ইউপি চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন সরকার, ফতেহাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান কেএম কামরুজ্জামান মাসুদ, জাফরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল আলম, রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান সরকার।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।