প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪:৫৪
জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি) গঠিত হতে যাচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবার এই দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘিরে বড় জমায়েতের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এই অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সকল উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপি-জামায়াত থেকে শুরু করে গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা প্রায় সব রাজনৈতিক দলকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ ঢাকায় নিযুক্ত ৫১টি দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও কূটনীতিকদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে গিয়ে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেওয়া হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম সাইফ মুস্তাফিজ প্রধান।
নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ৩৬টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের শরিক ১৪ দলের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যারা অংশগ্রহণ করেছে, তাদের সকলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ও সকল উপদেষ্টাদেরও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এই দল গঠনের পেছনে সরকারের সমর্থন রয়েছে বলে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে। ছাত্রদের এই দলকে ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। এ নিয়ে বিতর্ক এড়াতে উপদেষ্টাদের কেউ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না বলে জানা গেছে। দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না।
জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানটি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই দলটি তরুণ নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে এবং দেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চায়। আগামী দিনে এই দলটি কী ধরনের ভূমিকা রাখে, তা নিয়ে সবাই উৎসুক।
