নতুন রাজনৈতিক সমীকরণে আওয়ামী লীগের বিচার দাবিতে একমত হয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এ ঐকমত্য হয়।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে চারটি মূল দাবিতে একমত হন তারা। প্রথমত, গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। দ্বিতীয়ত, বিচার না হওয়া পর্যন্ত দলটির রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে। তৃতীয়ত, নির্বাচনের আগেই বিচারের কার্যক্রম দৃশ্যমান করতে হবে। চতুর্থত, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে কোনো আপস নেই। তিনি বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল, রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নির্বাচনের আগেই বিচারের পদক্ষেপ দৃশ্যমান করার দাবি বৈঠকে উত্থাপিত হয়েছে এবং তাতে সকলেই সম্মতি দিয়েছেন।
তবে বৈঠকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন এনসিপির এই নেতা। বরং বৈঠকে সমসাময়িক রাজনীতি, চলমান আন্দোলন ও সংস্কার নিয়ে আলাপ হয়েছে।
ফ্যাসিবাদী শাসনামলে হেফাজত ও অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের মিথ্যা মামলা ও হয়রানি প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়। এসব মামলা দ্রুত প্রত্যাহার ও নিষ্পত্তির দাবিতে একমত হয়েছেন উভয় পক্ষের নেতারা।
বৈঠকে সংস্কার নিয়ে পারস্পরিক মতবিনিময় হয়েছে। দুই দলের নেতারা একে অন্যের মতামত গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছেন। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও জোরদার করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।
বৈঠকে হেফাজতে ইসলামের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। অপরদিকে এনসিপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীবসহ অন্য নেতারা।