প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৮:৪৭
সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত ফ্যাসিবাদী শক্তির উত্থানের পথ প্রশস্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে এবং তা নাগরিক অধিকার হরণে পরিণত হচ্ছে। বুধবার ঢাকার আশুলিয়ায় 'নারকীয় আশুলিয়া স্মরণে' ভার্চ্যুয়াল সমাবেশে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, আশুলিয়ার গণহত্যা কেবল একটি দুর্ঘটনা নয় বরং এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। রাষ্ট্রের মদদেই এই হামলা ও হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছে, যার দায় সরকারের উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের। তিনি অভিযোগ করেন, বিশেষ করে সাভার-আশুলিয়া অঞ্চলে যে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল তা ছিল এক নির্মম অধ্যায়।
তিনি বলেন, ওই ঘটনায় শুধু মানুষ খুনই করা হয়নি, বরং তাদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল যাতে প্রমাণ না থাকে। এমন বর্বরতা কারবালার ঘটনাকেও হার মানিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই ঘটনা জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত থাকবে।
তারেক রহমান দাবি করেন, ৫ আগস্ট ছিল যখন সরকার পতনের চূড়ান্ত মুহূর্ত, তখনই আশুলিয়ায় চলছিল গণহত্যা। এই সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে বর্বর নিপীড়ন চালানো হয়েছে শ্রমজীবী জনগণের ওপর, যা গণতন্ত্রের জন্য একটি গভীর হুমকি।
তিনি বলেন, গত বছরের জুলাই মাসে শ্রমিকরা যেভাবে রাস্তায় নেমেছিলেন তা ছিল নিছক কোনো স্বার্থসংশ্লিষ্ট নয়। তারা সরকারি চাকরি কিংবা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধার প্রত্যাশায় ছিলেন না। বরং তারা নেমেছিলেন ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে।
তারেক রহমান আরও বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতায় যখন গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি থাকে তখন সাধারণ মানুষের কোনো অধিকার থাকে না। এই উপলব্ধি থেকেই শ্রমজীবী মানুষ রাস্তায় নেমেছিল এবং তাদের সেই আত্মত্যাগ জাতি আজও স্মরণ করছে। এই আন্দোলনই প্রমাণ করে জনগণই আসল শক্তি।
তিনি আরও বলেন, সরকার যদি এখনো শিক্ষা না নেয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে এবং জনগণের ধৈর্যচ্যুতি ঘটবে। এজন্য তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এই সমাবেশের মাধ্যমে আবারও ফুটে উঠেছে, শ্রমজীবী মানুষের আত্মত্যাগ এবং গণতন্ত্রের জন্য তাদের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।