প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৫, ১১:৪৫
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, প্রস্তাবিত সংস্কারের আইনি ভিত্তি না থাকলে তা বাস্তবায়নযোগ্য হবে না এবং জনগণের কাছে এর কোনো গুরুত্ব থাকবে না। তিনি জানান, এ অবস্থায় দলটি সেই প্রস্তাবে সই দেবে না।
মঙ্গলবার কমিশনের পাঠানো খসড়া সনদ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন আলোচনার মাধ্যমে যে সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে, সেগুলো কার্যকর করার জন্য উপযুক্ত আইনি কাঠামো থাকা আবশ্যক। কিন্তু এই খসড়ায় শুধু বাস্তবায়নের সময়সীমা বলা হলেও সরকারের মেয়াদ বা কমিশনের ক্ষমতা সংক্রান্ত কোনো পরিষ্কার দিকনির্দেশনা নেই।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সরকার কি তাহলে দুই বছর ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করছে? যদি বর্তমান সরকারই এসব বাস্তবায়ন করতে চায়, তাহলে তা সাংবিধানিক কাঠামোতে কিভাবে হবে তা স্পষ্ট নয়। আর যদি পরবর্তী সরকার তা বাস্তবায়ন করে, তাহলে এতদিনের আলোচনা কেবল একটি সুপারিশ হিসেবেই থেকে যাবে।
জামায়াত নেতার মতে, প্রস্তাবগুলোকে বাস্তব রূপ দিতে হলে এগুলোর আইনি ভিত্তি থাকতে হবে এবং তা বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর করতে হবে। অন্যথায় জনগণের কাছে এই উদ্যোগের কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না।
তিনি বলেন, অতীতে বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট আইনগত পথে সমাধান করা হয়েছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, এরশাদসহ অনেকেই আইনি কাঠামোর মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসে সংসদ গঠন করেছেন এবং আইন পাস করেছেন। তাই এবারও আইনি ভিত্তি তৈরির সুযোগ আছে।
সংস্কার বাস্তবায়নে আইনজ্ঞদের নিয়ে একটি যৌথ বৈঠকের প্রস্তাব দেন তিনি। তার মতে, এখনই আলোচনা শুরু করে খসড়ার আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা গেলে একটি কার্যকর সংস্কার প্রক্রিয়া সামনে আসবে।
জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শুধু রাজনৈতিক সদিচ্ছা নয়, আইনি কাঠামোর মাধ্যমেই জনগণের আস্থা অর্জন করা সম্ভব।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি এই সনদ বাস্তবায়নযোগ্য না হয় বা আইনগত ভিত্তি না থাকে, তাহলে এটি একটি প্রতীকী দলিল হিসেবেই থেকে যাবে। এমন দলিলে জামায়াত সই করবে না।
এই বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ না নিলে রাজনৈতিক ঐকমত্যের দীর্ঘ প্রচেষ্টার সুফল হারানোর ঝুঁকি রয়েছে বলেও সতর্ক করেন তিনি।