প্রকাশ: ৯ আগস্ট ২০২৫, ১৬:০
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেই দেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, শুধু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও ভোটাধিকার নয়, দেশের মানুষের সব অধিকার নিশ্চিত করার নেতৃত্ব দিতে সক্ষম তিনিই।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, দেশে দক্ষ চিকিৎসকের কোনো অভাব নেই, তবে সমস্যার মূল হচ্ছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ত্রুটি। উপমহাদেশে বাংলাদেশের চিকিৎসকরাই সেরা, কিন্তু সিস্টেমের অব্যবস্থাপনা স্বাস্থ্যখাতকে পিছিয়ে দিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, পারস্পরিক হিসেব-নিকাশ ও দলীয় স্বার্থের সংস্কৃতি দেশকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে নীতি ও দায়িত্বশীলতার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, তারেক রহমানের প্রস্তাবিত ৩১ দফা কর্মসূচি শুধু স্বাস্থ্যখাত নয়, দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা ও জনকল্যাণের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে। এসব প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় মির্জা ফখরুল সাম্প্রতিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা অন্তর্বর্তী সরকারের নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। তিনি বলেন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত মানবতা এবং এ কাজেই রাজনীতির সার্থকতা নিহিত।
সম্মেলনে ড্যাবের নেতৃবৃন্দ, চিকিৎসক ও বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। তারা স্বাস্থ্যখাতের সমস্যা, সমাধান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।