প্রকাশ: ৯ আগস্ট ২০২৫, ১৭:১০
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পতনের ফলে পুরো জাতি অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পেরেছে। গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে একটি প্রত্যাশিত রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে, যা দেশের মানুষের মধ্যে নতুন আশা ও উৎসাহ সঞ্চার করেছে। তিনি বলেন, সেদিন থেকে দেশের মানুষ বুক ফুলিয়ে শ্বাস নিতে শুরু করেছে এবং তারা একটি ভালো ও স্থায়ী পরিবর্তনের প্রত্যাশায় রয়েছে।
যদিও তাৎক্ষণিকভাবে সব সমস্যা সমাধান হবে না, তবুও এগিয়ে যাওয়ার পথ গ্রহণ করা প্রয়োজন। তারেক রহমান বলেন, জনগণ বিএনপির কাছ থেকে ইতিবাচক উদ্যোগ এবং ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনায় দৃঢ় নেতৃত্বের প্রত্যাশা করছে। আগামী দিনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকার দেশকে সুশাসনের পথে নিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, দলগুলো নিজেদের অভ্যন্তরে যদি গণতান্ত্রিক চর্চা বৃদ্ধি করতে পারে, তবেই দেশের সার্বিক গণতন্ত্র সুদৃঢ় হবে। তিনি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের গড়ে তোলা বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, বর্তমান বাংলাদেশি রাজনীতিতে এই ঐতিহ্য ধরে রাখতেই হবে। এছাড়া, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা খালেদা জিয়া স্বৈরাচার মুক্ত করে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদান রেখেছেন। তারেক রহমান আরও বলেন, দলীয় ও
জাতীয় পর্যায়ে গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত করতে হবে এবং স্থানীয় থেকে শুরু করে সর্বস্তরে গণতন্ত্রের চর্চা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়নে ও দলীয় ঐক্যবদ্ধতা গড়ে তোলায় গুরুত্বারোপ করেন। এই সময় তিনি দলের প্রতি দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান। তারেক রহমানের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয় যে, আগামী সময়ে দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনে বিএনপির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ন হবে এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার রয়েছে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে এবং তাদের প্রত্যাশার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। আগামী দিনে দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিএনপি যথাযথ নেতৃত্ব ও পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।