প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১০:১৯
আজকের দিনে বিশ্বজুড়ে নানা প্রতিযোগিতা, জয়-পরাজয়ের খবর শোনা যায়। তবে ইসলামের দৃষ্টিতে প্রকৃত বিজয় হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা এবং জান্নাতের অধিকারী হওয়া। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা’আলা ঘোষণা করেছেন যে, যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে, তাদের জন্য জান্নাত সুসংবাদস্বরূপ নির্ধারিত।
সূরা আহকাফে আল্লাহ বলেন, “যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ এবং এরপর সরল পথে অটল থাকে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।” এই আয়াত বিশ্বাসীদের মনে শান্তি ও সাহস যোগায়। কারণ দুনিয়ার সাময়িক পরীক্ষার পর তাদের জন্য স্থায়ী সফলতা অপেক্ষা করছে।
আজকের প্রেক্ষাপটে যখন মানুষ ক্ষণস্থায়ী অর্জনকেই বড় জয় বলে মনে করছে, তখন ইসলাম মনে করিয়ে দেয় যে, প্রকৃত জয় হলো পরকালের মুক্তি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “দুনিয়া হলো মুমিনের কারাগার আর কাফেরের জান্নাত।” এই হাদিস স্পষ্ট করে দেয় যে মুমিনের জন্য দুনিয়া কষ্টের হলেও পরকাল হবে আনন্দময়।
মুমিনদের জন্য আজকের বড় সংবাদ হলো, ধৈর্যশীলতা ও সৎকর্মের মাধ্যমে তারা আল্লাহর প্রতিশ্রুত বিজয় লাভ করবে। দুনিয়ার কোনো হার বা জয়ই সেই জান্নাতের প্রতিদানকে ছুঁতে পারে না। কারণ জান্নাতের সুখ সীমাহীন এবং চিরস্থায়ী।
ইসলামী আলেমরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, আল্লাহর পথেই প্রকৃত শান্তি। যদি মানুষ একে অপরের সাথে দয়া, ন্যায়পরায়ণতা ও সত্যবাদিতা অবলম্বন করে, তবে দুনিয়াতেও শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। আর পরকালে তাদের জন্য রয়েছে অফুরন্ত পুরস্কার।
আজকের এই বার্তায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, ইসলাম কেবল নামাজ-রোজার ধর্ম নয়, বরং মানবতা, নৈতিকতা এবং শান্তির বার্তা। মানুষ যদি কোরআন-হাদিসের আলোকে জীবন সাজায়, তবে দুনিয়াতেও সুখ পাবে এবং পরকালেও প্রকৃত বিজয় অর্জন করবে।
এভাবে আজকের দিনের সবচেয়ে বড় জয় হলো আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখা ও তাঁর নির্দেশিত পথে অটল থাকা। এ-ই হলো চিরন্তন মুক্তি, যা কোনো পার্থিব সফলতার সাথে তুলনীয় নয়।