শয়তানকে পরাজিত করার রাসুল (সা.)-এর ৩ উপায়

শয়তানকে পরাজিত করার রাসুল (সা.)-এর ৩ উপায়

পৃথিবীতে মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে শয়তান। সে জন্ম থেকেই আমাদের ধোঁকায় ফেলতে, গুনাহে ডুবিয়ে দিতে এবং আল্লাহর পথ থেকে ফিরিয়ে দিতে সদা সক্রিয়। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের শিখিয়েছেন—কিভাবে এই চিরশত্রুকে হারিয়ে দেওয়া যায়। হাদীসের আলোকে তিনটি কার্যকর উপায় এখানে তুলে ধরা হলো। প্রথমত, শয়তানকে পরাজিত করতে হলে অবশ্যই আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা  করতে হবে। একবার রাসুল (সা.) বললেন,

পবিত্র জুমার দিনের বরকত: জীবনের প্রতিটি দিকেই হেদায়াতের আলো

পবিত্র জুমার দিনের বরকত: জীবনের প্রতিটি দিকেই হেদায়াতের আলো

জুমার দিন সপ্তাহের সেরা ও সর্বশ্রেষ্ঠ দিন। রাসুল (সা.) এই দিনকে ঈদের দিনের মতো মর্যাদা দিয়েছেন। কোরআন ও হাদিসে জুমার দিনের বহু ফজিলত ও গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবন ও আখিরাতের জন্য এক বিরাট হেদায়াতের উৎস। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য শুধু নামাজের নয়, বরং আত্মশুদ্ধি, দোয়া কবুলের এবং আল্লাহর করুণা পাওয়ার শ্রেষ্ঠ সুযোগ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিন এমন

শান্তির জন্য প্রয়োজন কুরআনের পথে ফেরা

শান্তির জন্য প্রয়োজন কুরআনের পথে ফেরা

মানুষ যত আধুনিক হচ্ছে, ততই অশান্তি তাকে ঘিরে ধরছে। প্রযুক্তির উৎকর্ষতা, জীবনের বিলাসিতা, সমাজে চাকচিক্য—সবই বেড়েছে। কিন্তু আত্মিক প্রশান্তি যেন মানুষের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। এই অবস্থায় ইসলামের মৌলিক শিক্ষাগুলোতে ফিরে যাওয়াই একমাত্র পরিত্রাণের পথ। কুরআনের ভাষায়, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর স্মরণেই অন্তরসমূহ প্রশান্ত হয়’ (সূরা রা’দ, আয়াত ২৮)। আমরা যদি চারপাশে তাকাই, দেখতে পাব সমাজে অন্যায়, অবিচার, লোভ, হিংসা, প্রতারণা—এসব বেড়েই চলেছে।

জীবনে বরকতের চাবিকাঠি — সকালে রিজিকের জন্য দোয়া

জীবনে বরকতের চাবিকাঠি — সকালে রিজিকের জন্য দোয়া

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের জীবনের প্রতিটি দিকেই পথনির্দেশনা দিয়েছেন। দুনিয়ার সফলতা এবং আখিরাতের মুক্তির জন্য তিনি এমন কিছু আমল শিখিয়েছেন, যা অল্প পরিশ্রমে অনেক ফজিলতের দ্বার খুলে দেয়। এর মধ্যে একটি হলো—রিজিক বৃদ্ধির জন্য সকালে নির্দিষ্ট কিছু দোয়া ও আমল। নবী করিম (সা.) সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই আল্লাহর কাছে রিজিকের জন্য দোয়া করতেন এবং সাহাবাদেরও তা শিক্ষা দিতেন।

হাদিসের আলোয় দুনিয়ার প্রশান্তির চাবিকাঠি

হাদিসের আলোয় দুনিয়ার প্রশান্তির চাবিকাঠি

ইসলামে মানুষের দুনিয়াবি জীবনও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত। প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) আমাদের এমন অনেক হাদিস দিয়ে গেছেন যেগুলো শুধু আখিরাতের জন্য নয়, দুনিয়ার জীবনের জন্যও হেদায়েত ও প্রশান্তির পথ দেখায়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে তার পরিবার-পরিজনের কাছে উত্তম আচরণ করে।’ (তিরমিজি)। এই হাদিস আমাদের পারিবারিক জীবনে সদাচরণ, সহনশীলতা ও ভালোবাসার ভিত্তি তৈরি করে, যা

বস্ত্র ও খাদ্যে অপচয়: ইসলামের দৃষ্টিতে এক কঠিন গুনাহ

বস্ত্র ও খাদ্যে অপচয়: ইসলামের দৃষ্টিতে এক কঠিন গুনাহ

ইসলামে অপচয়কে কঠিনভাবে নিষেধ করা হয়েছে। কুরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, “নিশ্চয়ই অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই” (সূরা ইসরা: ২৭)। অপচয় শুধু সম্পদের অপমান নয়, বরং এটি অহংকার, গাফিলতি ও অকৃতজ্ঞতার প্রতিচ্ছবি। আজকের সমাজে বিশেষ করে খাবার ও পোশাকে অপচয় আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। ইসলামের আলোকে এর প্রতিকার ও গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো আমাদের জানা থাকা দরকার। প্রথমত, খাবারের ক্ষেত্রে অপচয় আজ একটি সাধারণ সামাজিক সমস্যা

শুক্রবারে করণীয়: এই দিনে রাসুল (সা.) যা করতেন

শুক্রবারে করণীয়: এই দিনে রাসুল (সা.) যা করতেন

শুক্রবার ইসলাম ধর্মে একটি অত্যন্ত মর্যাদাসম্পন্ন দিন। পবিত্র কোরআন ও সহিহ হাদিসে এই দিনের বিশেষ ফজিলত ও গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে। এই দিনে জুমার নামাজ, দরুদ পাঠ, গোসল, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে যেমন এই দিনে কিছু আমল করতেন, তেমনি তিনি তাঁর উম্মতদেরও তা অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রথমত, এই দিনে পবিত্রতা অর্জনের জন্য গোসল করা

আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠায় সর্বাগ্রে চাই নিয়তের পরিশুদ্ধতা

আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠায় সর্বাগ্রে চাই নিয়তের পরিশুদ্ধতা

ইসলামে আমল বা কর্ম যত গুরুত্বপূর্ণ, তারচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সেই আমলের নিয়ত। হাদীসে এসেছে—“নিয়ত ছাড়া কোনো আমল গ্রহণযোগ্য নয়” (সহীহ বুখারী)। অর্থাৎ আমাদের প্রতিটি ইবাদত, দুনিয়াবি কাজ এমনকি সাধারণ কথাবার্তাও যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হয়, তাহলে তাতেও সওয়াব রয়েছে। তাই মুসলমানের জীবনে সর্বপ্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ কাজ হলো নিজের নিয়তকে ঠিক করা। আমরা অনেকে সালাত পড়ি, রোজা রাখি, দান-খয়রাত করি; কিন্তু নিয়ত

আল্লাহর কাছে দোয়া কবুলের উপায়

আল্লাহর কাছে দোয়া কবুলের উপায়

মানুষের জীবনে সংকট আসবেই, বিপদ আসবেই। সেই বিপদের সময় মানুষ যার শরণাপন্ন হয়, তিনি হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ। দোয়া হচ্ছে বান্দার অস্ত্র—যা দিয়ে সে পৃথিবীর এবং আখিরাতের যাবতীয় কল্যাণ লাভ করতে পারে। কিন্তু সব দোয়া কি কবুল হয়? অনেকেই বলেন, দোয়া তো করেছি, কিন্তু ফল পাইনি। আসলে দোয়ার কবুল হওয়ার জন্য কিছু শর্ত ও আদব রয়েছে, যেগুলো পূরণ না হলে দোয়ার

হালাল-হারাম বোধ জাগ্রত করা কেন জরুরি

হালাল-হারাম বোধ জাগ্রত করা কেন জরুরি

আধুনিক সমাজে মুসলিম পরিচয়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে হালাল ও হারাম বিষয়ে অস্পষ্টতা। প্রযুক্তির উৎকর্ষ, বৈশ্বিক অর্থনীতি ও নিত্যনতুন পণ্যের ছড়াছড়ির যুগে অনেক কিছুই আমরা ব্যবহার করি বা গ্রহণ করি—যার বৈধতা নিয়ে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গিতে ভাবি না। অথচ একজন মুমিনের জন্য হালাল-হারামের বোধ জাগ্রত করাই হলো তাকওয়ার মূল ভিত্তি। হাদীসে এসেছে, “হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট। আর এ দুয়ের মাঝে কিছু সন্দেহযুক্ত

শিরোনাম: রাসুলের (সা.) শিক্ষা: অল্পতেই সন্তুষ্টি ও সচ্চরিত্র

শিরোনাম: রাসুলের (সা.) শিক্ষা: অল্পতেই সন্তুষ্টি ও সচ্চরিত্র

আল্লাহর রাসুল (সা.) এর জীবন আমাদের জন্য পূর্ণাঙ্গ পথনির্দেশ। দুনিয়াবি ব্যস্ততার এই যুগে মানুষ যখন অশান্তির ভেতর দিয়ে দিন পার করছে, তখন রাসুল (সা.) এর জীবনের ছোট ছোট শিক্ষা আমাদের জন্য হতে পারে অমূল্য দিকনির্দেশনা। বিশেষ করে তাঁর “অল্পতেই সন্তুষ্টি” এবং “সচ্চরিত্র” চর্চা ছিল মুসলিম উম্মাহর জন্য স্থায়ী আদর্শ। আজকের দিনে এই দুটি গুণের চর্চা করলে পারিবারিক শান্তি, সামাজিক ঐক্য

ইসলামে টাকা ধার নেওয়া ও সময়মতো পরিশোধের গুরুত্ব

ইসলামে টাকা ধার নেওয়া ও সময়মতো পরিশোধের গুরুত্ব

ইসলামে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে অত্যন্ত স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। কোরআন ও হাদীসে একাধিক স্থানে বলা হয়েছে, কেউ যদি কারো কাছ থেকে ঋণ নেয়, তাহলে সময়মতো তা পরিশোধ করা তার জন্য ফরজ বা বাধ্যতামূলক। হাদীসে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “ধার শোধের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি শোধ করে না, সে একজন জালিম।” (সহিহ বুখারী) আধুনিক সমাজে মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে

জুমার দিনে দোয়ার দরজা খোলা থাকে

জুমার দিনে দোয়ার দরজা খোলা থাকে

শুক্রবার মুসলিমদের জন্য সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনকে ‘সপ্তাহের সেরা দিন’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। জুমার দিনে আল্লাহর রহমতের দরজা খুলে দেওয়া হয়, বিশেষ করে এমন একটি মুহূর্ত আছে, যখন বান্দা যদি মন থেকে দোয়া করে, আল্লাহ তা কবুল করে নেন। জুমার দিনের ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসে বহুবার বর্ণনা এসেছে। সহিহ মুসলিম শরিফে আছে,

সুন্নাত অনুযায়ী জীবন: ছোট ছোট আমলে বিশাল সাওয়াব

সুন্নাত অনুযায়ী জীবন: ছোট ছোট আমলে বিশাল সাওয়াব

পৃথিবীতে আল্লাহর রাসূল (সা.) যেভাবে জীবনযাপন করেছেন, সেই পদ্ধতিকেই বলা হয় সুন্নাত। একজন মুসলমানের জীবনে সুন্নাহ অনুসরণ শুধু ইবাদত নয়, বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের সবচেয়ে সুন্দর ও সহজতম পথ। হাদিসে বর্ণিত আছে, “যে ব্যক্তি আমার সুন্নাহকে ভালোবাসে, সে যেন আমাকেই ভালোবাসল। আর যে আমাকেই ভালোবাসল, সে জান্নাতে আমার সঙ্গেই থাকবে।” (তিরমিজি) আমরা অনেক সময় মনে করি, কেবল নামাজ-রোজা বা হজ-জাকাতের

হাদিসের আলোকে: উত্তম চরিত্রই মুসলমানের আসল পরিচয়

হাদিসের আলোকে: উত্তম চরিত্রই মুসলমানের আসল পরিচয়

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবন ছিল পূর্ণাঙ্গ ইসলামের বাস্তব রূপ। তিনি শুধু ইবাদতের জন্য নয়, বরং সর্বোচ্চ নৈতিকতার প্রতীক হিসেবে মানবজাতির জন্য আদর্শ হয়ে এসেছেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ, যার চরিত্র সবচেয়ে উত্তম’’ (বুখারি)। বর্তমান সময়ে মুসলমানদের মধ্যে যে বিভ্রান্তি, অনৈক্য এবং সমাজে যে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, তার একটি বড় কারণ হলো উত্তম চরিত্রের

দুনিয়ার ভালোবাসা হৃদয়ে বাড়লে পরকাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়

দুনিয়ার ভালোবাসা হৃদয়ে বাড়লে পরকাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়

আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য মুমিনের প্রথম করণীয় হলো দুনিয়ার প্রতি মোহ কমানো এবং অন্তরে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ভালোবাসা জাগানো। কুরআন ও হাদীস বারবার সতর্ক করে যে, দুনিয়া হচ্ছে পরীক্ষা, আর এ পরীক্ষায় সফল হতে হলে হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করতে হবে। হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যার দুনিয়ার চিন্তা বাড়ে, আল্লাহ তার গরিবিকে সামনে নিয়ে আসেন এবং তার ফাঁকা জীবনকে ব্যস্ততায় ভরে

একজন উত্তম মুসলিম হবার সহজ ৫টি রাসুলীয় পরামর্শ

একজন উত্তম মুসলিম হবার সহজ ৫টি রাসুলীয় পরামর্শ

মানুষের চরিত্র, আচরণ ও সামাজিক জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামে রয়েছে চমৎকার দিকনির্দেশনা। রাসুলুল্লাহ (সা.) মানুষের জীবনের প্রতিটি দিকেই হেদায়াত দিয়েছেন, যা শুধু আখিরাত নয়, দুনিয়ার জীবনকেও করে তোলে সুন্দর ও সফল। হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘সেই মুসলমানই উত্তম, যার হাত ও মুখ থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।’ (বুখারি)। এ হাদিসটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা। সমাজে

কিয়ামতের আগে ধ্বংস হবে সময়ের বরকত

কিয়ামতের আগে ধ্বংস হবে সময়ের বরকত

ইসলামের দৃষ্টিতে কিয়ামতের আলামতগুলো মানুষের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাধিক হাদীসে কিয়ামতের ছোট ও বড় আলামতের কথা বলেছেন। তাঁর বর্ণনায় উঠে এসেছে, কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে মানুষের জীবনে বরকত কমে যাবে, বিশেষত সময়ের বরকত। হাদীসে এসেছে, “কিয়ামতের অন্যতম আলামত হবে—সময় সংকুচিত হয়ে যাবে।” (সহীহ বুখারী: ৯৯২)।  এই সময় সংকোচনের অর্থ অনেকভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। একদিকে দিনরাত্রির সময়কাল কমে

দুনিয়ার ছোট কাজের বিনিময়ে জান্নাতের বিশাল পুরস্কার

দুনিয়ার ছোট কাজের বিনিময়ে জান্নাতের বিশাল পুরস্কার

আল্লাহ তাআলা বান্দার ছোট ছোট আমলকে বড় করে দেখেন। ইসলামে এমন বহু সহজ আমল আছে, যার মাধ্যমে একজন মুমিন জান্নাতের বিশাল মর্যাদায় আসীন হতে পারে। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচাও অর্ধ একটি খেজুর দান করে হলেও" (বুখারি, মুসলিম)। এ থেকে বোঝা যায়, সামান্যতম সদকা, নেক কাজ, বা সদ্ব্যবহার পর্যন্ত জান্নাতের দরজা খুলে দিতে পারে। রাসূল (সা.) এর

কিয়ামতের দিন সবচেয়ে ওজনদার আমল হবে ভালো আখলাক

কিয়ামতের দিন সবচেয়ে ওজনদার আমল হবে ভালো আখলাক

ইসলাম ধর্মে মানুষের নৈতিক চরিত্র বা আখলাককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআন এবং হাদীসের অসংখ্য স্থানে ভালো ব্যবহারের গুরুত্ব, মুমিনের আচরণ এবং মানুষের সঙ্গে সদাচরণের উপকারিতা তুলে ধরা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন মুমিনের আমলনামায় সবচেয়ে ভারী যে আমলটি থাকবে, তা হচ্ছে তার উত্তম আখলাক। এটি বোঝায় যে, শুধু নামাজ-রোজা নয়, বরং মানুষের সঙ্গে আচরণই একটি

রাসুল (সা.) এর সুন্নাহভিত্তিক খাবার: আধুনিক বিজ্ঞানেও প্রমাণিত উপকারিতা

রাসুল (সা.) এর সুন্নাহভিত্তিক খাবার: আধুনিক বিজ্ঞানেও প্রমাণিত উপকারিতা

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ছে, আর সেই ধারায় মুসলিম বিশ্বে নবী করিম (সা.) এর খাদ্যাভ্যাস ও সুন্নাহভিত্তিক খাবারের প্রতি আগ্রহও বেড়েছে। গবেষণা বলছে, রাসুল (সা.) এর প্রিয় খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে খেজুর, মধু, যব, দুধ ও অলিভ অয়েল—যেগুলোর প্রতিটিই আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে উপকারিতার জন্য স্বীকৃত। এই অভ্যাসগুলো শুধু ধর্মীয় দিক থেকেই নয়, স্বাস্থ্যরক্ষার দিক থেকেও অত্যন্ত কার্যকর। রাসুল (সা.) খেজুর খুব পছন্দ

মৃত্যুর পর মুমিনের কবরের শান্তিময় জীবন

মৃত্যুর পর মুমিনের কবরের শান্তিময় জীবন

ইসলাম ধর্মে কবরকে বলা হয় ‘বারযাখ’ — যা মৃত্যুর পর ও কিয়ামতের আগে এক অন্তর্বর্তীকালীন জগৎ। একজন মুমিনের জন্য এই কবরের জীবন শান্তির, আর একজন কাফেরের জন্য এটি শাস্তির। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, কবর হলো জান্নাতের বাগানসম একটি বাগান অথবা জাহান্নামের গর্তসম একটি গর্ত। কবরের এই জীবন সম্পর্কে জানা, আমাদের দুনিয়ার আচরণ ও আমল গঠনে গভীর প্রভাব ফেলে। মুমিন

পবিত্র কোরআন অবমাননা রোধে মুসলিম উম্মাহর করণীয় কী

পবিত্র কোরআন অবমাননা রোধে মুসলিম উম্মাহর করণীয় কী

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশে পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনায় মুসলিম বিশ্বে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। ডেনমার্ক, সুইডেন ও ফ্রান্সসহ কিছু দেশে প্রকাশ্যে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটলেও এসব দেশের সরকার অভিব্যক্তির স্বাধীনতার কথা বলে এসব অপকর্মকে রুখতে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এর ফলে মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগছে এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে। ইসলামের দৃষ্টিতে কোরআন শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয়,

পবিত্র জুমার গুরুত্ব ও ফজিলত: মুমিনের সাপ্তাহিক ঈদ

পবিত্র জুমার গুরুত্ব ও ফজিলত: মুমিনের সাপ্তাহিক ঈদ

জুমার দিনকে ইসলাম বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। এটি সপ্তাহের সর্বোত্তম দিন এবং মুসলমানদের জন্য এক আত্মিক উজ্জীবনের দিন। হাদীসে এসেছে, জুমা হলো মুসলিম উম্মাহর জন্য ‘সপ্তাহের ঈদ’। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সূর্য যে দিনটিতে উদিত হয়েছে, তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমার দিন। এই দিনেই আদম (আ.) সৃষ্টি হয়েছিলেন, এই দিনেই তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেন এবং এই দিনেই জান্নাত থেকে বের করে