হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ৩ নং জলসুখা ইউনিয়নে (ইউপি) নির্বাচনে স্থগিত কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে।আজ মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয় এই ভোটগ্রহণ। বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৯৯৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৪৯৩ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ৫০২ জন। তবে দুপুর ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিচ্ছে ভোটাররা।
এ কেন্দ্রে ৩ জন চেয়ারম্যান, ৩ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য এবং ২ জন সাধারন ওয়ার্ড সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী রোখসানা আক্তার শিখা (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. ফয়েজ আহমেদ খেলু (আনারস) এবং স্বতন্ত্র এম এইচ জামির মোটর (সাইকেল)।
সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৪.৫.৬ নম্বর ওয়ার্ডে রাবিয়া খাতুন (পদ্মফুল), রাজিয়া সুলতান (মাইক) ও স্বপ্না আক্তার (হেলিকপ্টার)। সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থীরা হচ্ছেন মো. রশিদ মিয়া (ফুটবল) ও পারভেজ মিয়া (মোরগ) প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।২ নং জলসুখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (আটপাড়া দক্ষিণ) কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মোসাদ্দেকুল ইসলাম জানান, সকাল ১১ টা পর্যন্ত ৪ শ’ ভোট প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর জলসুখা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য পদে ৩ জন ও সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিলেন ৮ জন প্রার্থী। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহনও হয়। তবে বিপত্তি বাধে ভোট গণনার সময়।
সন্ধায় জলসুখা ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনার সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফয়েজ মিয়া ও আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী রোখসানা আক্তার শিখার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে । এতে কেন্দ্রটিতে কাষ্ট হওয়া ৭৪৪ ভোটের সবগুলো ভোটই আগুনে পুড়ে চাই হয়ে যায়। ফলে কেন্দ্রটির ফলাফল স্থগিত করেন নির্বাচন কমিশন।
অন্যান্য কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রোখসানা আক্তার শিখা ৪ হাজার ১৩৯ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. ফয়েজ মিয়া পেয়েছেন ৪ হাজার ১২৪ ভোট। সেই হিসাবে ১৫ ভোট এগিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী রোখসানা আক্তার শিখা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।