চুয়াডাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা ও রাত ৮টায় জেলার পৃথক স্থানে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।দুপুরে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জে আলমসাধুর ধাক্কায় তাসমিনা খাতুন (৪০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। নিহত তাসমিনা খাতুন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জের আব্দুস সালামের স্ত্রী।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহানা আহমেদ জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান তাসমিনা খাতুন। মূলত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, রাত ৮ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের কাঠালতলা এলাকায় আলমসাধু ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক মোটরসাইকেল আরোহী। নিহতরা হলেন দামুড়হুদা উপজেলার আমডাঙ্গা গ্রামের ইরান আলীর ছেলে আলমসাধু চালক লাল্টু মিয়া (২২) ও সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল কায়েসের ছেলে মোটরসাইকেল চালক রিফাত রহমান (২১)। আহত মানিক মিয়া (২০) দর্শনা পৌর এলাকার রামনগর গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে।
দামুড়হুদা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সেলিম মোল্লা জানান, রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন মোটরসাইকেল চালক রিফাত ও তার বন্ধু মানিক। এসময় জয়রামপুর গ্রামের কাঠালতলা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি আলমসাধুর সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ঘ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আলমসাধু চালক লাল্টু মিয়া। গুরুতর আহত হন রিফাত ও তার বন্ধু মানিক।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রিফাতকে মৃত ঘোষণা করেন।তিনি আরও জানান, নিহতদের মরদেহ থানায় নেয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান রিফাত। আহত মানিক মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।