নেছারাবাদে ভাঙ্গা পুলে দুর্ভোগ আট হাজার মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৭ই এপ্রিল ২০২২ ১১:১৭ পূর্বাহ্ন
নেছারাবাদে ভাঙ্গা পুলে দুর্ভোগ আট হাজার মানুষ

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের বিন্না টু মুসল্লিবাড়ী কাছা-কাছি দুইটি কাঠের পুল মরন ফাদে পরিনত হয়েছে। এ কারনে দুর্ভোগে আছে ওই এলাকার প্রায় আট হাজার লোক সহ পথচারিরা। পুল দুইটি হল ৬নং ওয়ার্ডের বিন্না গ্রামে বিন্না টু মুসল্লিবাড়ী রাস্তায় পর পর অবস্থিত।


লোহার ভিমের উপর কাঠের ছাউনির ওই পুল দুইটি এখন অতি ঝুকিপূর্ন অবস্থায় আছে। এতে  বিশেষ সমস্যায় পড়েছে ওই এলাকার দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ একটি কলেজের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীরা। প্রতিনিয়ত পুল পার হতে গিয়ে ছোট খাট দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের বিষয়টি বার বার জানালেও টনক নড়ছেনা তাদের।


স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ তারা এলাকার মেম্বরকে পুলটি সংস্কারের ব্যপারে কোন কথা জানালে তারা সরাসরি চেয়ারম্যানকে জানাতে বলেন। তাদের দাবী পুল দুইটি অতিদ্রুত সংস্কার বা মেরামত না করলে যেকোন সময় ঘটতে পারে কোন প্রাণহানি বা বড় কোন দুর্ঘটনা।   


স্থানীয় মো: ইলিয়াস (৩৯) নামে এক বাসিন্দা জানান, মুসল্লী বাড়ি টু বিন্না বাজার রাস্তার পুলটা খুবই নাজুক অবস্থা। বর্তমানে পুলের ছাউনি ভেঙ্গে জায়গায় জায়গায় ফাকা অবস্থায় আছে। ভাল নেই পুলের কাঠামো। তিনি জানান, ভাঙ্গা পুলের উত্তর পাশে বলদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং রাজাবাড়ী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া, পুলের দক্ষিন পাশে  স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ অবস্থিত। এই ভাঙ্গা পুল পার হয়ে পাশ্ববর্তী ৫নং ওয়ার্ড সহ চলাচল করে তাদের ৬নং ওয়ার্ডের মানুষ। তিনি আরো বলেন, গতকাল একদিন পূর্বেও পুল পার হতে গিয়ে এক শিক্ষার্থী দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অল্পের জন্য বেচে গেছে। নড়বড়ে এই পুল দিয়ে ঘটতে পারে যেকোন বড় দুর্ঘটনা।


স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, তারা স্থানীয়বাভে চাঁদা তুলে পুলটি একাধিকবার মেরামত করে চলাচল করে আসছে। বর্তমানে পুলটির অবস্থা এতই নাজুক যা সরকারি কোন বরাদ্দ ছাড়া পুলটি মেরামত সম্ভব নয়। তারা অভিযোগ করেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি বারবার অপারগতার কথা বলে যাচ্ছেন এবং চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলছেন।পার্শ্ববর্তী ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহাগ মিয়া বলেন, বরাদ্দ না দিলে পুল দুইটি মেরামত করা সম্ভব নয়। তাই বরাদ্দ পাওয়ার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।


৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: বাবুল হোসেন বলেন, পুলটি আট বছর  আগে নির্মিত হয়েছিল। রাস্তাটি খুবই গুরুপ্তপূর্ন। ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন মটর সাইকেল সহ স্থানীয় বাসিন্দা ও বেশকিছু স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। যেহেতু পুলটি কাঠের ছাউনি। গাড়ী সহ লোক সমাগম বেশি চলাচল বিধায় পুলটির ছাউনি কিছু দিন পর পর ভেঙ্গে পড়ছে। নতুন বরাদ্দ ছাড়া পুলটি মেরামত সম্ভব নয়। পুলটি ঢালাই হলে টেকসই পুল হবে। তাছাড়া বর্তমানে পুলের কাঠামো খুবই নড়বড়ে। তাই এব্যপারে পরিষদের সভায় জানানো হবে।


বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: সাইদুর রহমান জানান, তার ইউনিয়নে অনেক রাস্তা-ঘাট ও পুল খারাপ অবস্থা। যেহেতু ওই পুল দু'টি বেশি গুরুপ্তপূর্ন তাই অচিরেই বরাদ্দ থেকে পুল দুইটি মেরামত করে দিব।নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মোশারেফ হোসেন জানান, পুল দুইটি অতি দ্রুত মেরামতের জন্য আমি চেয়ারম্যানকে বলে দিয়েছি।