বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়ার ফলে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্রে মাছধরা সকল ট্রলার মৎস্যবন্দর আলীপুর-মহিপুরসহ বিভিন্ন নদ নদীতে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নিতে শুরু করেছে। দিনভর মেঘলা আকাশ সাথে গুড়ি গুড়ি বৃস্টিতে পর্যটকসহ শ্রমজীবি মানুষ ভোগান্তিতে পরেছে। বইছে ঠান্ডা বাতাস। হিমেল বাতাসের কারনে ঠান্ডাজনিত রোগ দেখা দিয়েছে। এদিকে সমুদ্র উত্তাল থাকায় সৈকতে অবস্থানরত পর্যটকদের নিরাপদে থাকতে ট্যুরিস্ট পুলিশ মাইকিং করে সতর্ক করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে. কুয়াকাটা সৈকতে আগত পর্যটকরা বৈরী আবহাওয়ার ফলে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যেতে দেখা গেছে। সৈকতের পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। সৈকত থেকে ছাতা বেঞ্চসহ ভ্রাম্যমান ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। কুয়াকাটা বীচ বেঞ্চ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্বাস কাজী জানান, আজ সোমবার সকাল থেকে হালকা ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি থেমে থেমে বৃস্টির কারনে সৈকতের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিয়েছে। বিকেলে ভাটার সময় হঠাৎ সমুদ্রের পানি বেড়ে গেছে। এতে আতংক বেড়েছে পর্যটকসহ স্থানীয়দের মাঝে।
কুয়াকাটা আলীপুর মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি মোঃ আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, বঙ্গোপসাগর ফুসে ওঠেছে। সমুদ্রে জেলেরা টিকতে না পারায় অধিকাংশ মাছধরা ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে তীরে ফিরে এসেছে। এখনও যারা ফিরে আসেনি তারাও রাতের মধ্যে ফিরে আসবে। তবে কোন মাছধরা ট্রলার দূর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।