‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ধর্ম মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ সংক্রান্ত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে সারাদেশে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।
প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ১টি করে সর্বমোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে সোমবার আরো ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ সময় রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মো. জাকির হোসেন, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুর জব্বার, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সী, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. আশরাফুর রহমান, জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস পারভীন, রাজবাড়ী ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াছিন মোল্লা, গোয়ালন্দ উপজেলা ইসলামী ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মো. লুৎফর রহমানসহ জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মুসুল্লিরা বলেন, উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি নির্মিত হওয়ায় তারা গর্ববোধ করছেন। এতো সুন্দর মসজিদে বসে নামাজ আদায় পারাটা তারা অনেক আনন্দের মনে করছেন। এছাড়া নানামুখী ধর্মীয় শিক্ষা তারা এখান থেকে শিখতে পারবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, রাজবাড়ী গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে সাড়ে ১৩ কোটি তিনতলা বিশিষ্ট এ মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু করে ফরিদপুরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসসিএল এন্ড এমএম এইচ এন্টারপ্রাইজ।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মসজিদটিতে নারী ও পুরুষদের আলাদাভাবে নামাজ আদায় এবং আলাদা ওজুখানার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে হজ্ব প্রশিক্ষণ ও হজ্বযাত্রীদের নিবন্ধনের ব্যবস্থা। সেই সাথে রয়েছে ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইসলামী গবেষণা কেন্দ্র, ইসলামী লাইব্রেরী ও অটিজম কর্নার। রয়েছে মৃতদেহ গোসল করানোর ও জানাযার ব্যবস্থা।
অপরদিকে, ১৭০ ফিট দৈর্ঘ্য ও ১১০ ফিট প্রস্থ দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদটির নিচতলায় রয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। রয়েছে হিফজখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, সহজ কোরআন শিক্ষা ও গণশিক্ষা কেন্দ্র। এছাড়াও রয়েছে দ্বীনি এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সভা কক্ষ ও ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র। সেই সাথে রয়েছে দেশী-বিদেশী মেহমানদের জন্য অতিথিশালা বা আবাসনের ব্যবস্থা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।