পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং শেষ, স্বাধীনতা দিবসে হস্তান্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক
আনোয়ার হোসেন আনু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার ২৫শে মার্চ ২০২৩ ০৩:৫৫ অপরাহ্ন
পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং শেষ, স্বাধীনতা দিবসে হস্তান্তর

শেষ হচ্ছে পায়রা বন্দরের ক্যাপিট্যাল ড্রেজিং প্রকল্পেরর কাজ। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে বেলজিয়ামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বন্দরের কাছে খননকৃত চ্যানেল হস্তান্তর করবে।  এবারের স্বাধীনতা দিবসে পায়রা বন্দর বড় একটি অর্জন করতে যাচ্ছে। ড্রেজিংয়ের ফলে ১০ দশমিক ৫ মিটার গভীরতার চ্যানেল সৃষ্টি হয়েছে। যা দেশের অন্য সব বন্দরের চেয়ে বেশি গভীর। এতে লাইটার জাহাজের সাহায্য ছাড়াই বন্দরের জেটিতে সরাসরি পণ্য খালাস করতে পারবে মাদার ভ্যাসেল।  


পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল জানান, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয় পায়রা বন্দরের ক্যাপিট্যাল ড্রেজিং। টানা দুই বছর ড্রেজিং চলার পর শেষ হচ্ছে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে বেলজিয়ামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘জান ডি নুল’ ড্রেজিংকৃত রামনাবাদ চ্যানেল হস্তান্তর করবে বন্দরের কাছে। 


ড্রেজিংয়ের ফলে ১০ দশমিক ৫ মিটার গভীরতার একটির চ্যানেল সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ৪০ হাজার ডেডওয়েট টন কার্গো বা তিন হাজার কন্টেইনারবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারবে।


 চেয়ারম্যান আরও জানান, ক্যাপিট্যাল ড্রেজিং এর কাজ শেষে হলেও চ্যানেলের নাব্যতা ধরে রাখতে মেইনটেনেন্স ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হবে। যা ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। 


পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিব্বুর রহমান মহিব জানান, পায়রা বন্দর ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলে উন্নয়নের মহা কর্মযজ্ঞ চলছে। পায়রা বন্দর আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এটা আমাদের জন্য বড় পাওয়া। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। কোন বাঁধা বিপত্তিই পায়রা বন্দরকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। বন্দরটি  দেশের অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দক্ষিনাঞ্চলবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। 


বন্দর সুত্রে জানাগেছে, প্রথম জেটির কাজ শেষ হলেই আগামী মে মাসে বন্দরের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশের তৃতীয় এই সমুদ্র বন্দর পুরোপুরি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চল সহ সমগ্র দেশের অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আসবে।