সাভারের আশুলিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার পর স্ত্রীর লাশ বাথরুমে রেখে সন্তানকে নিয়ে পালিয়েছেন ঘাতক স্বামী। নিহত শিমু আক্তার (২১) গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২০ জুন) সকালে আশুলিয়া থানার কাঠগড়া পশ্চিমপাড়া এলাকার ইঞ্জিনিয়ার মামুনের পাঁচতলা বাড়ির একটি ফ্ল্যাট থেকে লাশ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
নিহত শিমু আক্তার (২১) গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার মোগন্দপুর গ্রামের নয়া মিয়া ব্যাপারীর মেয়ে। পলাতক স্বামী ফারুক হোসেন একই জেলার বাসিন্দা। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কাঠগড়া এলাকার ডেকো লিগেসি গ্রুপের আগামী এ্যাপারেলস লিমিটেড পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তাঁদের আড়াই বছরের এক ছেলেসন্তান রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, একই বাসায় নিহত নারী, তাঁর আরও দুই বোন ও খালা-খালু বসবাস করেন। গতকাল সোমবার মধ্যে রাতে স্বামী ফারুককে নিয়ে ঘরে চলে যান শিমু। পরদিন সকালে এক বোন তাঁকে অফিসে যাওয়ার জন্য ডাকতে এসে দেখেন ঘরের ছিটকিনি বাইরে থেকে আটকানো। ঘরে ঢুকতেই রক্তের চিহ্ন। ভেতরে কাউকে না পেয়ে বাথরুমে গিয়ে শিমুর নিথর দেহ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। সকাল থেকেই ফারুক আর তাঁদের সন্তানকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা দায়ের করবে। আমরা পলাতক স্বামীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। বাকি তথ্য তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। ধারণা করা যাচ্ছে, বঁটি বা ধারালো কিছু দিয়ে নারীকে জবাই করা হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছোটখাট বিষয় নিয়ে কলহ লেগেই থাকত। মাঝেমাঝেই তাঁরা মারামারি করতো।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।