আশাশুনির বিভিন্ন বাজারে চলছে আশফল বিক্রির ধুম। বিক্রেতারা কেউবা আশফল বিক্রি করছে ভ্যানে করে আবার কেউবা বসেছে ঝুড়িতে নিয়ে। ফলের সাইজ অনুযায়ী ১০০-১৫০টাকা একশ আশফল ফল বিক্রি হচ্ছে । হাট বা বাজার থেকে ফেরার পথে এই আশফল নিয়ে বাড়ি ফিরছেন অনেকে। ক্রেতারা সার্বক্ষণিক ভিড় জমাচ্ছে আশফলের দোকানগুলোতে। আর আশফল বিক্রি করে ব্যস্ত সময় পার করছেন অধিকাংশ আশফল ব্যবসায়ী।
আশাশুনির বুধহাটা বাজার,কাদাকাটি বাজার, বড়দল বাজারের লোকসমাগম জায়গায় বিক্রেতারা আশফল নিয়ে বসেছেন। কেউবা সাজিয়ে রেখেছেন ঝুড়িতে আবার কেউবা বিক্রি করছেন ভ্যানে করে। আর ক্রেতারা সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন আশফল কেনার জন্য। ২০-৩০টাকা কুড়ি দরে বিক্রি হচ্ছে সুস্বাদু ও রসালো মৌসুমী ফল আশফল।
বাজার বা হাট করতে এসে আশফল কিনে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই। শিশুরাও আশফল দেখে বাবা-মাকে বলছে এটি কেনার জন্য। বাবা-মাও শিশুদেরকে আশফল কিনে দিয়ে তাদের আবদার পূরণ করছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে আশফল গাছ কিনে রেখেছেন এসব মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া গ্রাম থেকেও অনেকে আশফল কিনে নিয়ে আসে হাটবাজারে বিক্রি করার জন্য। অনেক ব্যবসায়ী আবার প্রত্যন্ত গ্রামে গাছ কিনে রেখেছেন এই মৌসুমী ফলের ব্যবসা করার জন্য। গ্রাম থেকে ব্যবসায়ীরা আশফল সংগ্রহ করে আনেন শহরে বিক্রি করার জন্য।আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা খেয়াঘাট রোডে আশফল কিনতে আসা কুল্যা গ্রামের নিতাই বলেন, “২০টাকা কুড়ি দরে চার কুড়ি আশফল কিনেছি।
এটি রসালো ও সুস্বাদু একটি ফল। ছোট-বড় সকলের প্রিয় ফল এটি। সবাই খুব আনন্দের সাথে এটি খেয়ে থাকে।বুধহাটার আনোয়ার হোসেন বলেন, “আশফল গ্রীষ্ম মৌসুমের একটি সুস্বাদু ফল। এখন গ্রাম বা শহরের প্রায় সব মোড়েই এই ফল বিক্রি করছে অনেকে। ৩০ টাকা কুড়ি দরে দুই কুড়ি আশফল কিনেছি। তবে এ বছর আশফলের দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। তাই কম করে কিনলাম। এছাড়া শিশুরা আনন্দের সাথে এই ফল খেয়ে থাকে।
”জানাগেছে,বাজারে লিচু শেষ হওয়ার এক মাস পর অর্থাৎ জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এসব আশফল পাকতে শুরু করবে। এই সময়ে লিচুর বিকল্প হিসেবে আশফল জনপ্রিয় হয়ে উঠে। আঁশফলে বিভিন্ন খনিজ উপাদান, শর্করা ও ভিটামিন সি এর প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য অংশে ৭২ ভাগ পানি, ১০৯ কিলোক্যালোরি শক্তি, ৮.০ মিগ্রা. ভিটামিন সি, ২৮০ আইইউ ভিটামিন এ, ২.০ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম, ৬.০ মি.গ্রা. ফসফরাস, ১.০ গ্রাম প্রোটিন ও ০.৫ গ্রাম ফ্যাট বিদ্যমান। আঁশফলের শুকানো শাঁস ভেষজ ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। যেমন- এটি পাকস্থলীর প্রদাহে, অনিদ্রা দূর করতে ও বিষের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর পাতা অ্যালার্জি, ডায়াবেটিস ও কার্ডিওভাসকুলার রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা যায়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।