নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে এক ইউপি সদস্যকে মারধর এবং চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে। প্রায় এক ঘণ্টা চেয়ারম্যান তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ থাকার পর স্থানীয় বিএনপি নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার ইউপি সদস্য মো. শামীম অভিযোগ করেন, তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থক হলেও কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি যথারীতি ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন।
তিনি আরও জানান, প্রায় দেড় মাস আগে ইউনিয়ন পরিষদে কৃষকদের জন্য সরকারিভাবে সার আসে। তার ওয়ার্ডের ৪৫ জন কৃষকের নাম ওই তালিকায় ছিল। সোমবার সকালে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে তালিকা অনুসারে সার বিতরণ শুরু করা হয়। কিন্তু এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন একই ওয়ার্ডের যুবদল নেতা রানা, জাবেদ ও ছাত্রদল নেতা মহসিন।
বেলা ১১টার দিকে তারা ১৫-২০ জন নেতাকর্মী নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে এসে ইউপি সদস্য শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন, কার অনুমতি নিয়ে সার বিতরণ করা হচ্ছে। একপর্যায়ে তারা গ্রাম পুলিশের কক্ষে ঢুকে শামীমকে গালিগালাজ ও মারধর করেন এবং পরিষদ থেকে বের করে দেন। এরপর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন মিন্টুকে তার কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন তারা।
এ বিষয়ে গোপালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. হাবীবুর রহমান বলেন, "সার বিতরণ নিয়ে হালকা একটা ঘটনা ঘটেছে। মেম্বার দল নিয়ে গালাগালি করলে একটু বাড়াবাড়ি হয়। তালা দিয়েছে, আমি এসে তালা খুলে দিয়েছি। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "রানা ও মহসিন আমাদের দলের কর্মী। তবে জাবেদ নামে কাউকে আমি চিনি না।"
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, "খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ইউপি সদস্য ও স্থানীয় এক ছাত্রদল নেতার মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে চেয়ারম্যানের কাছে বিচার নিয়ে গেলে সেখানেও ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।"
এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষ মামলা দায়ের করেনি। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমে যেন কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।