প্রকাশ: ৬ জুন ২০২৫, ১১:৯
আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আযহা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলমানরা পালন করবেন এই বিশেষ দিনটি। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা, কোরবানির পশু কেনা এবং প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে।
কোরবানির ঈদ মুসলমানদের জন্য কেবল আনন্দ আর খুশির বার্তা নয়, বরং এর মাধ্যমে আসে আত্মত্যাগ, সহানুভূতি ও তাকওয়ার শিক্ষা। হজরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর আদেশ পালনে নিজ পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.) কে কোরবানি দিতে প্রস্তুত হয়েছিলেন। সেই আত্মত্যাগের মহৎ স্মরণেই এই উৎসব উদযাপন করা হয়।
রাজধানীর বিভিন্ন হাটে এখন গরু, খাসি, উট ও অন্যান্য কোরবানিযোগ্য পশু বিক্রি চলছে পুরোদমে। অনেকেই ইতোমধ্যে পশু কিনে বাড়ি নিয়ে গেছেন। হাটগুলোতে ভিড় বাড়লেও কিছুটা দাম বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষকে হিসেব করে চলতে হচ্ছে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এবারও কোরবানির সময় স্বাস্থ্যবিধি, পশু জবাইয়ের সুনির্দিষ্ট স্থান ব্যবহার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনগুলো এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছে।
ঈদের নামাজ সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে দেশের মসজিদ ও ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে। মুসল্লিদের সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে জামাতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন। অনেক মসজিদে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী কোরবানির পশুর তিন ভাগের এক ভাগ আত্মীয়, এক ভাগ গরিব ও এক ভাগ নিজের জন্য রাখার বিধান রয়েছে। এতে সমাজে সাম্যের বার্তা পৌঁছে যায় এবং গরিব-দুঃস্থরাও ঈদের আনন্দে শরিক হতে পারেন।
আলেম সমাজ ত্যাগের প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহ দিচ্ছেন। কোরবানির মাধ্যমে যেন আত্মশুদ্ধি অর্জন করা যায়, সে আহ্বান জানানো হয়েছে বিভিন্ন মসজিদের খুতবায়।
আনন্দ-উৎসবের মাঝেও নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবারের ঈদুল আযহা যেন শান্তিপূর্ণ ও সুন্দরভাবে পালিত হয়, সে প্রত্যাশা থাকছে দেশের প্রতিটি নাগরিকের মনে।