প্রকাশ: ৫ আগস্ট ২০২৫, ২১:১৯
কুমিল্লার দেবীদ্বারে ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দিনব্যাপী তিনটি গ্রুপে পৃথক বিজয় মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। সকাল থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে ছিল ব্যান্ড পার্টি, স্লোগান আর বৃষ্টিকে উপেক্ষা করা শত শত নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ।
সকালে প্রথম বিজয় মিছিলটি শুরু হয় কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সীর নেতৃত্বে। রেয়াজ উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি নিউমার্কেট স্বাধীনতা স্তম্ভে এসে শেষ হয়। কয়েক হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে মিছিলটি রঙিন এক বিজয় উল্লাসে পরিণত হয়।
দ্বিতীয় বিজয় মিছিলটি বিকেল ৩টায় পৌর বানিয়াপাড়া এলাকা থেকে শুরু হয়। এতে নেতৃত্ব দেন তিতুমীর কলেজের সাবেক ভিপি ও গুলশান থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এমএ আউয়াল খান। নিউমার্কেট হয়ে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন ঘুরে বানিয়াপাড়ায় এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় এ মিছিল।
বিকেল সাড়ে ৪টায় ব্যারিস্টার রেজভিউল আহসান মুনসীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় এবং দিনের সবচেয়ে বড় বিজয় মিছিল। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে হাজারো নেতাকর্মীর ঢল নামে। মিছিলটি স্বাধীনতা স্তম্ভ থেকে শুরু হয়ে থানা গেইট ঘুরে এসে একই স্থানে শেষ হয়। এসময় সড়কে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট, তবে নেতাকর্মীদের মাঝে ছিল বিজয়ের আত্মবিশ্বাস ও উল্লাস।
পুরো দিনজুড়ে নিউমার্কেট এলাকাজুড়ে ছিল বিএনপির বিজয় মিছিলের প্রতিধ্বনি। ব্যান্ড পার্টির সুর, বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আগত মিছিল এবং স্লোগানে মুখর ছিল পুরো শহর। জনসাধারণ ও যাত্রীদের মাঝে কিছুটা ভোগান্তি দেখা দিলেও নেতাকর্মীরা ছিলেন বিজয় উদযাপনে মগ্ন।
বিজয় মিছিল শেষে বিএনপি নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তারা বলেন, এই বিজয় জনগণের ত্যাগ ও আন্দোলনের ফসল। স্বৈরাচার দানবের পতনের পর যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের উচিত দ্রুত নির্বাচন দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
বক্তারা আরও বলেন, জাতি আর কোনো স্বৈরতন্ত্র চায় না। যদি সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তাহলে হাসিনার পরিণতি থেকে কেউ রেহাই পাবে না। তাই বর্তমান সরকারের উচিত সংবিধান অনুযায়ী দ্রুত গণতান্ত্রিক ধারা নিশ্চিত করা।