প্রকাশ: ৫ আগস্ট ২০২৫, ২১:২৭
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মাধ্যমিক শিক্ষকদের সংগঠিত হয়ে এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থার জাতীয়করণের দাবিতে সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১৩ আগস্ট ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহাসমাবেশ আহ্বান করেছে জাতীয়করন প্রত্যাশী মহাজোট। এই মহাসমাবেশ সফল করতে গোয়ালন্দের শিক্ষকরা দৃঢ় একতা নিয়ে কর্মসূচির প্রস্তুতি শুরু করেছেন।
৫ আগস্ট সকালে গোয়ালন্দ শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন এবং এ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম। দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ সহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন।
সভা পরিচালনা করেন দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক মুহাম্মদ আবুল কাশেম। সভায় দৌলতদিয়া আক্কাস আলী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক এবং মুহাম্মদ আবুল কাশেমকে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্যের একটি সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে স্থান পেয়েছেন ফকির আব্দুল জব্বার গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ মানিক শেখ এবং গোয়ালন্দ প্রপার হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক ইমাদ উদ্দিন টফি। সদস্য হিসেবে অন্যান্য শিক্ষকরা থাকছেন।
কমিটির সদস্যরা জানান, তারা ঢাকায় মহাসমাবেশে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সরকারের প্রতি তাদের দাবি পৌঁছে দেবেন। দীর্ঘদিন ধরে মাধ্যমিক শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির জন্য তারা আন্দোলন করে আসছেন এবং এই আন্দোলন সফল না হওয়া পর্যন্ত তাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
গোয়ালন্দের শিক্ষাবৃত্তিক এই উদ্যোগ স্থানীয় সমাজে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। শিক্ষকদের একতা ও দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এই সংগ্রাম আগামী দিনে সফল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। গোয়ালন্দের শিক্ষকেরা আরও বলেন, জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য এই জাতীয়করণ অত্যন্ত জরুরি।
শিক্ষক নেতারা এই আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষক শ্রেণির মর্যাদা বৃদ্ধি চায়। তারা সকল শিক্ষার্থী এবং জনগণের সহায়তা কামনা করেন যাতে তাদের দাবিগুলো যথাযথভাবে মেনে নেওয়া হয়। আগামী দিনের শিক্ষার মান উন্নয়নে ও শিক্ষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গোয়ালন্দ থেকে এ সংগ্রাম নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন সকলে।