প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৫, ১২:১
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে মিরের দেউলমোড়া গ্রামে পরিত্যক্ত একটি টয়লেট থেকে সাত বছর বয়সী মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ছোঁয়া মনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে পাঙ্গাসী ইউনিয়নের ওই এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মেয়েটি সকালে মাদ্রাসা থেকে ফেরার পর নিখোঁজ হয়। অনেক সময় ধরে খোঁজাখুঁজির পর বিকেলে প্রতিবেশী দাদার বাড়ির পরিত্যক্ত টয়লেটে শিশুটির মরদেহ দেখতে পান। এরপর তারা পুলিশকে দ্রুত খবর দেন।
মরদেহটি ভাঙা অবস্থায় পরিত্যক্ত টয়লেটের ওপর পড়ে ছিল। মৃতার মুখ, মাথা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরনের কাপড়ে রক্তের দাগও লক্ষ্য করা গেছে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক আনন্দ চন্দ্র বর্মণ বলেন, শিশুটিকে পরিত্যক্ত টয়লেটে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছে। প্রশাসন হত্যাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
রায়গঞ্জ থানার ওসি কে.এম মাসুদ রানা জানান, শিশুটির মুখ, মাথা ও পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে দেখা হচ্ছে। মরদেহটি সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, এলাকায় শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে। তারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন যাতে ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা না ঘটে।
পুলিশ তদন্তে ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং হত্যার কারণ ও অভিযুক্ত শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা আশা করছেন, দ্রুত হত্যাকারীদের ধরলেই শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে এবং সমাজে শান্তি ফিরে আসবে।