প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৩৯
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার সিএন্ডবি এলাকা থেকে মো. জহির মিয়ার (৭০) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয়রা ঝোপের মধ্যে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জহির মিয়া দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের সাথে মান-অভিমান রাখছিলেন। কয়েক বছর ধরে তিনি উপজেলা সদরের সওজ এলাকার একটি পুকুরপাড়ে ছোট্ট ঝুপড়িতে একা বসবাস করতেন। জীবিকা নির্বাহের জন্য তিনি প্লাস্টিকের বোতল সংগ্রহ করে বিক্রি করতেন।
স্থানীয়রা জানান, জহির মিয়ার স্ত্রী, চার ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার দুই ছেলে প্রবাসে থাকেন, একজন চট্টগ্রামে চাকরি করেন, ছোট ছেলে বাড়িতে থাকেন এবং মেয়ের বিয়ে হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার তাকে বাড়িতে ফেরানোর চেষ্টা করলেও তিনি অভিমান ভেঙে ফিরে আসেননি।
পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে হত্যার সন্দেহ প্রকাশ করেছে। মরদেহের অর্ধগলিত অবস্থা এবং অবস্থানের ধরণ দেখে তারা হত্যার প্রমাণ হিসেবে বিবেচনা করছেন। তদন্ত চলছে এবং স্থানীয়দের কাছে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা মরদেহটি দেখার পর আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, বৃদ্ধ মানুষটি একাকী বসবাস করতেন এবং তার জীবনযাপন অত্যন্ত নিভৃত ছিল। তার মৃত্যু এলাকায় শোক এবং দুঃখের ছায়া ফেলেছে।
উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ মৃতদেহের সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো অপরাধমূলক বিষয় খতিয়ে দেখছেন। তারা আশা করছেন, তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারী বা যেকোনো ধরনের অন্যায় নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।
স্থানীয়রা পুলিশ এবং প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা আশা করছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে প্রশাসন সতর্ক থাকবে।
এই ঘটনায় খাগড়াছড়ি জেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। মানুষদের মধ্যে বৃদ্ধদের নিরাপত্তা এবং একাকীত্ব প্রতিরোধের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।