প্রকাশ: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪১
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক হিসেবে দেখছে। দলের বক্তব্য, সম্প্রতি নুরুল হক নুর ও জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের ওপর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের রাজনৈতিক আবহ পরিস্থিতি আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। বিএনপির নেতারা মনে করছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময়সূচীর আগে বিভিন্ন দাবির মাধ্যমে নির্বাচনের স্বাভাবিক ধারাকে ব্যাহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা মনে করছেন, এসব হামলা ও রাজনৈতিক উত্তেজনা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা হ্রাস করতে পারে। একই সঙ্গে, রাজনৈতিক দলগুলোকে সজাগ ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন নেতা-কর্মীরা।
বিএনপি মনে করছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সরকার কর্তৃক নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের প্রত্যাশা, সরকার দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে এবং নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে দলের অবস্থান তুলে ধরেন।
জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য দলের সাথে সংঘর্ষের ঘটনাও দলের উদ্বেগের কারণ। নির্বাচনের ঠিক আগের সময়ে এই ধরনের সংঘর্ষ এবং হামলা দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জনমতের ওপর প্রভাব ফেলছে। বিএনপি এই ধরনের পরিকল্পিত হামলার সঙ্গে নির্বাচনের বিলম্বের কোনো সংযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে।
বৈঠকে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। বিএনপি মনে করে, আগামী নির্বাচন বিদ্যমান পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। তারা কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষপাতী নয়, তবে দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে ন্যায়সঙ্গত বিচার পাওয়ার সুযোগ থাকা জরুরি।
বিএনপি এবং গণঅধিকার পরিষদসহ সংশ্লিষ্ট নেতারা নির্বাচনের সময়সূচী রক্ষা ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সকল পক্ষের প্রতি সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, রাজনৈতিক হামলা ও দলের অবস্থান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
নেতাদের মতে, জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা এবং নির্বাচনের স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং হামলার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে না আসলে আগামী নির্বাচনের স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।