প্রকাশ: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:১৩
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে স্বামী-স্ত্রী মিলিত একটি চক্র ইজিবাইক চালককে অজ্ঞান করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, চালক আপেল উদ্দিন মন্ডল যাত্রী নিয়ে ঘুরতে বের হন। এসময় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে এক দম্পতি তার ইজিবাইক ভাড়া নেন। ঘুরে ফেরার পথে তারা চালকের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং একপর্যায়ে চেতনানাশক মিশ্রিত সিগারেট খাইয়ে তাকে অচেতন করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
ঘটনার সময় প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ইজিবাইক ও একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছিনতাই করা হয়। পরে ইজিবাইক মালিক থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ বগুড়ার ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের বহালগাছা গ্রামে অভিযান চালিয়ে শফিউল ইসলাম শাফিকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ ছিনতাই হওয়া ইজিবাইক শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হক জানান, গ্রেপ্তার শফিউল ইসলামকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও দুইজনকে শনাক্ত করেছে এবং তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়রা জানান, ছিনতাই চক্রটি পরিকল্পিতভাবে কাজ করছিল। তারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে আত্মীয়সুলভ সখ্যতা গড়ে তুলে সুযোগ বুঝে অজ্ঞান করে মূল্যবান সম্পদ ছিনতাই করছিল। স্থানীয়রা পুলিশের দ্রুত অভিযান ও ইজিবাইক উদ্ধার কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন।
নিরাপত্তা বাহিনী বলেন, এই ধরনের ঘটনা এড়াতে জনগণকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। ইজিবাইক বা যাতায়াতের ক্ষেত্রে অচেনা মানুষের সঙ্গে অতিরিক্ত সখ্যতা না গড়ে রাখা এবং সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে পুলিশকে অবহিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
চালক আপেল উদ্দিন মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন, ছিনতাইয়ের মুহূর্তটি ভয়ঙ্কর ছিল। তার মানসিক ক্ষতি সাময়িক হলেও পুলিশের সহযোগিতায় দ্রুত ইজিবাইক উদ্ধার হওয়ায় তিনি স্বস্তি বোধ করছেন।
ঘোড়াঘাটের স্থানীয়রা আশা করছেন, পুলিশ আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে এই ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধ করবে। পুলিশও জানিয়েছে, তারা এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধি এবং চক্রের সদস্যদের শনাক্তকরণের জন্য নিয়মিত অভিযান চালাবে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী মনে করিয়ে দিচ্ছে, জনগণকে সজাগ থাকতে হবে এবং সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের খবর পুলিশকে দিতে হবে।