প্রকাশ: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:৪
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় পদ্মা নদী ও মরা পদ্মায় অবাধে চায়না দোয়ারী ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ব্যবহার করা হচ্ছে, যা দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণীর জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। স্থানীয় এবং সরকারী সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, জাটকা ইলিশ, পোনা মাছ ও ডিমওয়ালা মা মাছসহ নানা ধরনের দেশীয় মাছ অবাধে শিকার করা হচ্ছে। নদী ও খাল-বিলে এই ধরনের অবৈধ শিকারের ফলে প্রজাতিগত ক্ষয় ঘটছে, যা ভবিষ্যতে মাছের উৎপাদন ও জলজ পরিবেশের জন্য উদ্বেগের বিষয়।
মাছ বিক্রেতারা জানান, কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারীর কারণে স্থানীয় বাজারে কিছু দেশীয় প্রজাতির মাছ বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এভাবে মাছ শিকার অব্যাহত থাকলে দেশের মাছের উৎপাদন হ্রাস পাবে এবং বিলুপ্ত প্রায় মাছের সংখ্যা বাড়বে। জেলেরা বলছেন, নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার বন্ধ করতে মৎস্য বিভাগকে কার্যকর অভিযান চালাতে হবে।
গোয়ালন্দ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট জানান, অবৈধ জাল ও চায়না দোয়ারী নদী, খাল ও বিল থেকে জব্দ করা হয়েছে এবং জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি বলেন, মৎস্য সম্পদ রক্ষার জন্য এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে যাতে কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী ব্যবহার বন্ধ হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, নদীতে এ ধরনের অবৈধ শিকার রোধে নিয়মিত অভিযান ছাড়া কিছু সম্ভব নয়। তদুপরি, জেলেদের মধ্যে শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করলে ভবিষ্যতে দেশীয় মাছ ও জলজ প্রাণীর ধ্বংস রোধ করা সম্ভব হবে।
অবাধ শিকার ও জলজ প্রজাতির ক্ষয় রোধ করতে মৎস্য বিভাগের কার্যকর পদক্ষেপ এবং স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা অপরিহার্য। জেলেরা ও সচেতন নাগরিকরা আশা করছেন, দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে পদ্মা নদী ও নদীর শাখা খাল-বিলে প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র ও মাছের প্রজাতি রক্ষা করা সম্ভব হবে।