চার ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
মাসুদ বাবু, জেলা প্রতিনিধি (লালমনিরহাট)
প্রকাশিত: শুক্রবার ৫ই এপ্রিল ২০২৪ ০৪:০৪ অপরাহ্ন
চার ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি

বিতর্ক থামছেই না লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে। টাকার বিনিময়ে কমিটি দেয়া, টাকা না দিলে কমিটি ভেঙে প্রেস কমিটি দেয়া একের পর এক অভিযোগ। এবার চাঁদাবাজির মামলায় লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশ ও সাধারণ সম্পাদক আরিফ ইসলামসহ চার ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। 



অপর দুই ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি হোসাইন তূর্য এবং লালমনিরহাট পৌর শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মানিক। 



বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার এই পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী নাজমা বেগম। 



এর আগে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর মো. হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন। শুনানি শেষে বিচারক মামলার বিষয়ে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য শাহজাহানপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। থানা তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।


জানা গেছে, চাঁদাবাজি মামলায় ছাত্রলীগের ওই চার নেতাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়। আজ ছিল হাজিরার দিন। কিন্তু তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় মামলার বাদী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন। 


 গত বছর ১৯ আগস্ট রাতে লালমনিরহাট যাওয়ার জন্য কমলাপুর রেলস্টেশনে যান বাদী। আসামিরা আগে থেকেই সেখানে ওত পেতে ছিলেন। দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ইস্যু নিয়ে তারা বাদীর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাই তাকে শায়েস্তা করতে সেখানে যান ছাত্রলীগ ওই চার নেতা। এ সময় বাদীকে একা পেয়ে সভাপতি-সম্পাদকসহ অন্যরা ঘিরে ধরেন এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে বাদীর মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করে। রডটি তার ঘাড়ে গিয়ে লাগে। এরপর আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। ওই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। সেখানে দেখা যায়, বাদীকে আসামিরা ঘিরে ধরে মারধর করছেন। বাদী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাকে জোর করে ধরে পেটানো হয়। সেসময় আশপাশের লোকজন এসে তাকে রক্ষা করেন।