বিসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্যকর্মকর্তাসহ চাকরিচ্যুত ১২ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার ১৪ই আগস্ট ২০২১ ০৫:৫৯ অপরাহ্ন
বিসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্যকর্মকর্তাসহ চাকরিচ্যুত ১২ জন

দুর্নীতির দায়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্যকর্মকর্তাসহ ১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে চাকুরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে অব্যাহতির চিঠি পৌঁছে দেয়া হয়েছে। শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। 



চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুল মতিন, নির্বাহী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির, বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী কাজী মনিরুল ইসলাম, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কমল কৃষ্ণ দাস ও জহিরুল ইসলাম, চিফ অ্যাসেসর মুশফিক আহসান আজম, জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান উদ্দিন রোমেল, হিসাবরক্ষক মো. মাইনুদ্দিন, সম্পত্তি শাখার এস্টেট অফিসার মাহাবুবুর রহমান শাকিল, আইন সহকারী রফিকুল ইসলাম, হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম ও হাট বাজার শাখার স্টল সহকারী আতাউর রহমান।



বিসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস জানান, চাকরিচ্যুতদের কাউকে কাউকে আগে বরখাস্ত ও ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছিল। সতর্ক করার পরও সংশোধন না হওয়ায় তাদের চাকরি থেকে চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।



গত ১৯ জুলাই সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহম্মদ ওই ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীর অব্যাহতি আদেশে স্বাক্ষর করেন। ১০ দিন পর ২৯ জুলাই চিঠিতে অফিস স্মারক নম্বর দেয়া হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার অফিস পিয়নদের মাধ্যমে তাদের হাতে চিঠি পৌঁছে দেয়া হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বরখাস্ত বা ওএসডি হওয়ার আগে কর্তৃপক্ষ তাদের মৌখিকভাবে সতর্ক করলেও তারা নিজেদের সংশোধন করেননি। সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক ক্ষতিসহ ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করায় চতুর্থ পরিষদের নবম সাধারণ সভায় ৯০ দিনের বেতন পরিশোধ করে তাদের চাকরিচ্যুতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস।



এদিকে চাকরিচ্যুতদের দাবি, অনিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তিন মাসের বেতন দেয়ার কথা বলা হলেও তারা তা পাননি। সিটি কর্পোরেশনের পানি শাখার হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সিটি করপোরেশনের একজন লোক বাসায় এসে চিঠি দিয়ে গেছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, তিন মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে, কিন্তু সেই টাকা আমি পাইনি। তা ছাড়া সিটি করপোরেশনের কাছে আমার ১৫ মাসের বেতন বকেয়া।’ বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী কাজী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।’