প্রকাশ: ১ আগস্ট ২০২৫, ২২:০
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর রপ্তানি শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ২০ শতাংশ নির্ধারিত হওয়াকে দেশের জন্য ইতিবাচক ও স্বস্তিদায়ক খবর হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এই সাফল্যের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাধুবাদ জানান এবং বলেন, তারা একটি বড় দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার উত্তরার আজমপুরে মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজনে ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান’ উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। বক্তব্যে তিনি বলেন, “আজকের দিনে একটি ভালো খবর আছে। যুক্তরাষ্ট্র আগে আমাদের পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছিল, যা রপ্তানিতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এখন তা কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে।”
তিনি সাধারণ জনগণের উদ্দেশে ব্যাখ্যা করে বলেন, এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে একটি ১০০ টাকার পণ্য ১৩৫ টাকায় বিক্রি হতো, ফলে বিদেশি বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে হতো। কিন্তু এখন সেই বোঝা কিছুটা লাঘব হয়েছে, ফলে রপ্তানি বান্ধব পরিবেশ ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের পররাষ্ট্র দপ্তর ও সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টারা এ নিয়ে কাজ করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করে শুল্ক কমাতে সক্ষম হয়েছেন। তাই এই উদ্যোগের জন্য আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।”
তিনি আরও বলেন, সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা মতপার্থক্য থাকলেও এই ধরনের কার্যকর উদ্যোগ জাতির জন্য উপকারী। পাশাপাশি তিনি প্রত্যাশা করেন, এই সরকার শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসনে আরও আন্তরিক হবে।
ফখরুল বলেন, “আমি আশা করেছিলাম এই সরকার শহীদদের একটি তালিকা তৈরি করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে। দুঃখের বিষয়, তা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। তবে তারা চেষ্টা করছে, এটিই আশার কথা।”
এ সময় তিনি শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণ করেন এবং তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে রাজনৈতিক বিতর্কের বাইরে গিয়ে একটি রাষ্ট্রিক অর্জনের প্রশংসা বিরল দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা হয়।