প্রকাশ: ৬ আগস্ট ২০২৫, ১০:২৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আজ (৬ আগস্ট) ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে। মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকের পরই প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া বুধবার (৬ আগস্ট) জানানো হবে, ইনশাআল্লাহ।” ঘোষণাপত্রের ব্যাপারে মত গঠনের জন্য মঙ্গলবার রাতেই দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই বৈঠকে ঘোষণাপত্রের ভাষা, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার সঙ্গে দলের অবস্থান কতটা সঙ্গতিপূর্ণ—তা নিয়ে আলোচনা হবে। একই সঙ্গে জাতীয় ঐক্য গঠনের প্রস্তাবনার ভেতরে জামায়াতের ভূমিকার সম্ভাবনাও বিশ্লেষণ করবেন নীতিনির্ধারকেরা।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস 'জুলাই ঘোষণাপত্র' পাঠ করেন। তিনি সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার, সংস্কার ও দমন-পীড়নবিরোধী কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন, যা দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে একটি সম্ভাব্য রূপরেখা হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়।
ঘোষণাপত্র পাঠের সময় মঞ্চে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবেও উপস্থিত ছিলেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। এতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, জামায়াত এই প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত হচ্ছে কি না।
তবে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোনো অবস্থান জানায়নি দলটি। আজকের প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হবে, দলটি ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-কে রাজনৈতিকভাবে কতটা গ্রহণযোগ্য মনে করছে এবং ভবিষ্যতে এই ঘোষণার ধারাবাহিকতায় তাদের অবস্থান কী হবে।
রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জামায়াতের প্রতিক্রিয়া জুলাই ঘোষণার ভবিষ্যৎ গ্রহণযোগ্যতা ও গতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষত ঘোষণাপত্রে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর ভূমিকা ও অবস্থান নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা না থাকায় বিষয়টি নিয়ে আলাদা কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
এখন সকলের দৃষ্টি আজকের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার দিকে। এটি শুধু একটি দলের অবস্থান প্রকাশ নয়, বরং চলমান রাজনৈতিক সমীকরণে একটি নির্ণায়ক পদক্ষেপ হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।