প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৪৬
গুলশানের চাঁদাবাজির ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টা জড়িত আছেন কিনা, তা দ্রুত তদন্ত করে জনগণের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে স্পষ্টতা না এলে উপদেষ্টাদের বিষয়ে আরও প্রশ্ন উঠবে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনাটি এখন দেশের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এখানে কারও সম্পৃক্ততা থাকলে তা গোপন রাখা উচিত নয়। জনগণের আস্থা বজায় রাখতে হলে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন জরুরি। তিনি আরও বলেন, যদি তদন্ত না হয়, তাহলে উপদেষ্টাদের ভূমিকা নিয়ে সংশয় তৈরি হবে।
তিনি আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোকে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তার মতে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে বা বয়কটের পথে হাঁটবে, তারা জাতীয় রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়বে।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তারের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেফতার হন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু। তার একটি স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও বুধবার রাতে সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তিনি দাবি করেন, ভোররাতে গুলশানের একটি হোটেলের সামনে একজন উপদেষ্টার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ও আলোচনা হয়েছিল।
এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার জাতীয় জাদুঘরে এক সংবাদ সম্মেলনে অপুর স্ত্রী কাজী আনিশা অভিযোগ করেন, স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্যটি জোরপূর্বক আদায় করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। তার এই অভিযোগের পরই বিষয়টি নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, যদি উপদেষ্টাদের কারও সঙ্গে এ ঘটনার যোগসূত্র থাকে, তা প্রমাণ সাপেক্ষে জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। একইসঙ্গে যাদের নাম আসছে, তাদের ব্যাপারেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
তিনি মনে করেন, স্বচ্ছ তদন্ত ছাড়া এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার বাড়বে, যা নির্বাচনী পরিবেশের জন্য শুভ নয়। তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
তার বক্তব্যে স্পষ্ট ছিল, বিএনপি চায় এই ঘটনায় কোনো প্রকার রাজনৈতিক রঙ না লাগুক এবং সত্য যেন সবার সামনে উন্মোচিত হয়।