বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নানা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মধ্যেও দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপি অটল ও সতর্ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। রোববার (৩১ আগস্ট) দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “আমি দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী এবং দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। জাতীয়তাবাদী আদর্শের সঙ্গে জনগণকে একত্রিত করার লক্ষ্যে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। আজকের দিনটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য আনন্দ, উদ্দীপনা ও প্রেরণার। দলটি দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রকে স্থায়ী করার নীতিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।”
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পরই ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে একদলীয় বাকশালী ব্যবস্থা কায়েম করা হয়, যা গণতন্ত্রকে হত্যা করে। তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর স্বৈরশাসন, সহিংসতা ও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ফলে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। সেই পরিস্থিতিতে শহীদ জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে পুনরায় বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেন।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি বিগত ৪৭ বছরে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশের সমৃদ্ধি ও কল্যাণে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। দলের নেতাকর্মীরা জীবন উৎসর্গ করে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষা করেছেন। ৮০-এর দশকে ৯ বছরের সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বিএনপির ভূমিকা দেশীয় ইতিহাসে উজ্জ্বল।
তিনি দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ১৯৯১ সালে সরকার পরিচালনায় এসে সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তনের উদ্যোগের কথা স্মরণ করেন। এছাড়া দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও নারীর ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প ও বানিজ্যে যুগান্তকারী অগ্রগতি অর্জনে বিএনপির ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তারেক রহমান আরও বলেন, জনগণের অধিকার রক্ষা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণ এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই এখন বিএনপির প্রধান লক্ষ্য। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনেও বিএনপি দেশের কল্যাণ ও গণতন্ত্র রক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে।