প্রকাশ: ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:২৪
অন্তর্বর্তী সরকার দেশের তিনটি গার্মেন্টস কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের সদর দপ্তরে রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি প্রেরণ করেছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে। সরকারের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে অবস্থানরত অভিযুক্তদের দেশে ফেরত আনা এবং শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টিএনজেড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন শামীম, ডার্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান ইত্তেমাদ উদ দৌলাহ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাবিল উদ দৌলাহ এবং রোর ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুনুল ইসলাম এই চিঠির প্রাপক। এদের বিরুদ্ধে শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন, অর্থনৈতিক অনিয়ম এবং বিভিন্ন আদালতে চলমান মামলা রয়েছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের বিভিন্ন আদালতে চলমান মামলার প্রমাণের ভিত্তিতে এই রেড নোটিশের প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। পত্রটি পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ইনস্পেক্টর জেনারেল (এনসিবি) স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ইন্টারপোলের কাছে প্রেরণ করা হয়।
সরকার আশা করছে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে অভিযুক্ত মালিকদের দেশে ফিরিয়ে এনে শ্রমিকদের পাওনা দ্রুত পরিশোধ করা সম্ভব হবে। এ উদ্যোগ শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা এবং কারখানা মালিকদের দায়িত্বশীলতার নিশ্চয়তা দেয়ার অংশ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
শ্রম অধিকার সংক্রান্ত আইন ও আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান দেখাতে সরকার এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অভিযুক্তদের দীর্ঘ সময় বিদেশে অবস্থান এবং দেশে অনুপস্থিতি শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা আদায়ে বাধা সৃষ্টি করেছিল।
এ পদক্ষেপ সরকারের কঠোর মনোভাব প্রতিফলিত করছে যে, শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘন বা দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মন্ত্রণালয় আশা করছে, আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দ্রুত এই সমস্যা সমাধান সম্ভব হবে।
শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা, ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করা এবং কারখানা মালিকদের সঠিক প্রতিক্রিয়া প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে সরকার এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। ভবিষ্যতেও একই নীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্য সরকারের রয়েছে।
মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে রেড নোটিশ কার্যকর করতে ইন্টারপোলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় করছে। দেশীয় শ্রম বাজারের সুস্থতা বজায় রাখা এবং শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করাই সরকারের অগ্রাধিকার।