প্রকাশ: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫০
জুমার দিন ইসলামে একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ দিন। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় এ দিনকে আল্লাহ তায়ালা অধিক সম্মানিত করেছেন। পবিত্র কোরআনে এ দিনের গুরুত্বের কথা উল্লেখ আছে এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) এর অসংখ্য হাদিসে এ দিনের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিন মুসলমানদের জন্য ঈদের সমতুল্য। এ দিনে যারা গোসল করে, পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করে, সুগন্ধি ব্যবহার করে এবং জামাতে নামাজ আদায় করে তারা আল্লাহর কাছে বিশেষ রহমত প্রাপ্ত হয়। এ দিনকে তাই আত্মশুদ্ধি ও ইবাদতের জন্য সর্বোত্তম সময় বলা হয়।
জুমার দিনের অন্যতম বিশেষত্ব হলো এ দিন এক সময় আছে, যখন বান্দা যা কিছু দোয়া করে, আল্লাহ তা কবুল করেন। সাহাবারা এ বিষয়ে রাসূল (সা.) এর কাছে প্রশ্ন করলে তিনি ইশারার মাধ্যমে এ সময়কে আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময় বলে ইঙ্গিত করেছেন।
এ দিনের খুতবা শোনার ওপরও ইসলামে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। হাদিসে এসেছে, জুমার খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা নামাজের একটি অংশ। তাই জুমার দিনে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায়ের পাশাপাশি খুতবার শিক্ষাও জীবনে বাস্তবায়ন করা আবশ্যক।
জুমার দিনে সূরা কাহফ তিলাওয়াতের সুপারিশ রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহফ পাঠ করবে, তার জন্য পরবর্তী জুমা পর্যন্ত নূর ছড়িয়ে পড়বে। এটি মানুষের অন্তরকে আলোকিত করে এবং ঈমানকে দৃঢ় করে।
প্রিয় নবী (সা.) আরও বলেছেন, জুমার দিন মৃতদের জন্য দোয়া করার সর্বোত্তম সময়। তাই এ দিনে কবর জিয়ারত, দোয়া ও ইস্তিগফার করার মাধ্যমে মানুষ নিজেকে ও মৃত আত্মীয়দের জন্য মঙ্গল কামনা করতে পারে।
জুমার দিনে দরুদ শরিফ বেশি বেশি পড়ার ওপরও বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। হাদিসে এসেছে, এ দিনে দরুদ পাঠ করলে তা সরাসরি রাসূল (সা.) এর কাছে পৌঁছে যায়। এতে বান্দা আল্লাহর কাছে বিশেষ মর্যাদা অর্জন করে।
ইসলামী আলেমরা বলেন, জুমার দিনকে শুধু আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে পালন না করে এর অন্তর্নিহিত শিক্ষা ও ফজিলত জীবনে ধারণ করাই একজন প্রকৃত মুসলমানের কর্তব্য। এ দিনকে ইবাদত, দোয়া, কোরআন তিলাওয়াত, দরুদ ও খুতবা শোনার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের দিন হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।