নড়াইল সদর উপজেলার বীড়গ্রামে গরুচোর সন্দেহে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ৯টার দিকে নড়াইল-গোবরা সড়কের পল্লী বিদ্যুৎ স্টেশনের উত্তর পাশের শস্যক্ষেতের মধ্য থেকে এবং তারই দক্ষিণ পাশের মেহগনি বাগানের মধ্যে পড়ে থাকা মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য পরে লাশ দুটি নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।নিহত একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার দাড়িয়া বারইডাঙ্গা গ্রামের গফুর শেখের ছেলে আসাদুল শেখ (৩৬)। অন্য ব্যক্তির নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত এক মাসের মধ্যে বীড়গ্রামের সুশেন বিশ্বাসের একটি, উজিরপুর গ্রামের রাম বিশ্বাসের পাঁচটি গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরচক্র। ওই ঘটনার পর থেকে দুই গ্রামের লোকজন গরু চোর ধরতে নিয়মিত পাহারা দিত। সোমবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে বীড়গ্রামের রেবো বিশ্বাসের বাড়ি থেকে চোরেরা গরু চুরি করতে গেলে বাড়ির মালিক চোর চোর বলে চিৎকার করতে থাকলে আশপাশের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে চোরদের ধাওয়া দেয়। গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে চোর দলের তিন-চারজন পালিয়ে যায়। এ সময় গরুচোর সন্দেহে আসাদুল শেখ ও অজ্ঞাত ব্যক্তিকে ধরে লোকজন গণপিটুনি দিয়ে নড়াইল-গোবরা সড়কের পল্লীবিদ্যুৎ স্টেশনের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে ফেলে রেখে যায়। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় কলোড়া ইউপি চেয়ারম্যান আশীষ কুমার বিশ্বাস ও একাধিক ব্যক্তি জানান, ইউনিয়নের বীড়গ্রামসহ আশেপাশের গ্রামে দিনের বেলায় ফেরিওয়ালা সেজে এরা কম্বল, থালা-বাটি ও অন্যান্য মালামাল বিক্রি করে খোঁজখবর নিয়ে রাতের বেলা চুরির কাজে লিপ্ত হতো। বীড়গ্রামের সুশেন বিশ্বাসের একটি, উজিরপুর গ্রামের রাম বিশ্বাসের পাঁচটি গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে গ্রামের লোকজন পাহারা দেওয়া শুরু করে।নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।