প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০:৪০
খাগড়াছড়ির সদর উপজেলার গোলাবাড়ি ইউনিয়নের বড়পাড়া এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পঙ্কজ ত্রিপুরা ও উপেন ত্রিপুরা নামের দুইজন প্রাণ হারিয়েছেন। একই দুর্ঘটনায় চন্দ্ররাণী ত্রিপুরা নামের এক নারী গুরুতর আহত হয়ে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝুলে থাকা বিদ্যুতের সার্ভিস লাইনের সঙ্গে সংস্পর্শে এসে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
নিহত পঙ্কজ ত্রিপুরা (৫০) মুচী কুমার ত্রিপুরার ছেলে এবং উপেন ত্রিপুরা (৩০) যার পিতার পরিচয় জানা যায়নি। আহত চন্দ্ররাণী ত্রিপুরা (২৪) ধনবিকাশ ত্রিপুরার স্ত্রী। দুর্ঘটনাস্থলেই উপেন ত্রিপুরার মৃত্যু হয় এবং গুরুতর আহত পঙ্কজ ত্রিপুরাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনায় পঙ্কজ ত্রিপুরার মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহত চন্দ্ররাণীর চিকিৎসা চলমান রয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বড়পাড়া এলাকায় বিদ্যুতের তার দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে ছিল এবং এটি নিয়ে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু বারবার জানানো সত্ত্বেও কোনো ধরনের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ঘটনার পর এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। হঠাৎ এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না নিহতদের পরিবার ও প্রতিবেশীরা। তাদের দাবি, অবহেলার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
এদিকে খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, অবহেলাজনিত এমন ঘটনা যদি বন্ধ না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও প্রাণহানি ঘটতে পারে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও দাবি করছেন, খোলা বা ঝুলে থাকা বিদ্যুতের তার নিয়ে কর্তৃপক্ষের আরও সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল। দুর্ঘটনার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
বর্তমানে চন্দ্ররাণীর শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে হলেও এখনো আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না। পরিবার তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছে এবং একইসঙ্গে দুর্ঘটনার পূর্ণ তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের দাবি জানিয়েছে।