প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৫, ১১:২৮
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও বিশ্বব্যাংকের সাবেক জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার মনোনয়ন দৌড়ে বিশ্বাস না থাকার কথা জানিয়ে বলেছেন, দলে সুযোগ পেলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত আছি। তিনি বলেন, “দুইশো মোটরসাইকেল নিয়ে প্রচারণার ধরনের মনোনয়ন দৌড়ে আমি বিশ্বাসী নই। এই সংস্কৃতির জন্য আমি বিশ্বব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরিনি।”
রবিবার সন্ধ্যায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এতে তিনি দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, দেশের বাইরে অনেক সুযোগ থাকলেও দেশের জন্য কিছু করার তাড়নায় তিনি দেশে ফিরে আসেন।
সভায় স্থানীয় সাংবাদিক ও পেশাজীবীরা ঝালকাঠির উন্নয়ন অভাব, সংস্কৃতি অবক্ষয়, পর্যটন ও কর্মসংস্থান সীমিত থাকার বিষয় তুলে ধরেন। বিশেষ করে ইকোপার্ক প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকার কথা উল্লেখ করেন তারা। পৌর মিনিপার্ক ও পাবলিক লাইব্রেরির অবস্থা শোচনীয় বলে জানান।
ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার বলেন, “একাত্তরে পাক হানাদাররা ঝালকাঠি শহর পুড়িয়ে দিয়েছিল, এখনও জেলা সেই ক্ষতির ভার বহন করছে। ঝালকাঠি লবণ শিল্প ও অন্যান্য সম্ভাবনাময় ব্যবসার কেন্দ্র হতে পারে।” তিনি সরকারি স্কুলগুলোকে তাদের পুরোনো মানে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কাজ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
তিনি মডেল টাউন ও ইন্টিগ্রেটেড আরবান এরিয়া গড়ার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এছাড়া সারাদেশের হস্তশিল্প ও কুটির শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করেন। তার লক্ষ্য একজন পাটিকর মাসে মাত্র ১৫০০ টাকার পরিবর্তে ১৫ লাখ টাকা আয় করবে।
ইকোপার্কের দখলদারিত্ব ও মামলার বিষয়ে এটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
সভায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আককাস সিকদার, সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষক ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা ঝালকাঠির উন্নয়নে নতুন উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করেন।
ড. জিয়াউদ্দিন হায়দারের বক্তব্য স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন আলোচনার সূচনা করেছে। তিনি দেশের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে সৎ ও দক্ষ নেতৃত্বের গুরুত্ব আবারও তুলে ধরেন।