প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৫, ১৮:৯
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলস এলাকায় পাঁচ বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। শনিবার ও রবিবার দুই দফায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে তিনজন নিজেদের আওয়ামী লীগ কর্মী এবং একজন নিজেকে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য বলে দাবি করেছেন।
ঘটনার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের আটকের একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, হিন্দিতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় একজন নিজেকে শেখ হাসিনার দলের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন এবং বাংলাদেশে অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন। তবে পরবর্তী অংশ জনতার চিৎকারে স্পষ্ট শোনা যায়নি।
ভারতীয় বিএসএফ ও মেঘালয় পুলিশের যৌথ অভিযানে চার বাংলাদেশিকে শনিবার আটক করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজনের হাত বাঁধা ছিল এবং শারীরিক নির্যাতনের চিহ্নও দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের হাতে ধরা পড়ার মুহূর্তের দৃশ্যও ভিডিওতে ধরা পড়েছে।
শিলং টাইমসের খবরে বলা হয়, শুক্রবার সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তবর্তী রংদাংগাই গ্রামে ২১ বছর বয়সী এক যুবকের ওপর হামলা, অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে অভিযান চালানো হয়। এ সময় গ্রামবাসী, পুলিশ ও বিএসএফ সীমান্ত এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে চিবক অরণ্য থেকে সন্দেহভাজনদের আটক করে।
শনিবার আটক হওয়া চারজন হলেন—জামালপুরের জাহাঙ্গীর আলম ও মারুফুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের সায়েন হোসেন এবং কুমিল্লার মাহফুজ রহমান। এদের মধ্যে মারুফুর রহমান নিজেকে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
রবিবার সকালে গ্রামবাসীর সহায়তায় গিলাগোড়া গ্রাম থেকে শেষ ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তিনি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার কলাগাঁও গ্রামের মোবারক মিয়া।
মেঘালয়ের পুলিশ জানায়, অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে বাংলাদেশ পুলিশের একটি আইডি কার্ড, হাতকড়া, পিস্তলের হোলস্টার, রেডিও সেট, মোবাইল ফোন, মুখোশ, কুঠার, তার কাটার যন্ত্র ও বাংলাদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সশস্ত্র হামলার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাদের আদালতে তোলা হবে।