প্রকাশ: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:১০
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরবাটা ইউনিয়নের একটি পুকুরে গাঁজা সেবনের সময় দুই বন্ধুর ঝগড়ায় তপন চন্দ্র মজুমদার (৪২) নামে একজন মারা গেছেন। মৃত তপন একই এলাকার মৃত ননী গোপাল মজুমদারের ছেলে। পুলিশ ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে ডালিম চন্দ্র মজুমদার (৪০) নামে একজনকে আটক করেছে। তবে এখনও মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত তপন ও আটক ডালিম প্রায়ই একসঙ্গে গাঁজা সেবন করত। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাস্তায় হাঁটতে দেখা যায় তাদের। কিছুক্ষণ পর তাদের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এক পর্যায়ে ডালিম তপনকে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। উভয়ই পুকুরে পড়ে যাওয়ার সময় চিৎকার করেন। স্থানীয়রা আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।
স্থানীয় ডেকোরেশন মিস্ত্রি মো. মনসুর (৪৫) এবং অটোরিকশা চালক নারায়ণ মজুমদার (৪৭) দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পানিতে আওয়াজ শুনে ডালিমকে উদ্ধার করেন। তপনকে তখন খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে রাত সোয়া ২টার দিকে তপনের লাশ পুকুরের পানিতে ভেসে ওঠে। পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন মিয়া জানান, ঘটনাস্থলে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে, তবে অসুস্থতার কারণে তৎক্ষণাত তার জিজ্ঞাসাবাদ সম্ভব হয়নি। ডালিমের হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, কিন্তু তপনের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
ময়না তদন্তের জন্য তপনের মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পুলিশ আশা করছে, তদন্তের মাধ্যমে পরিস্থিতি পরিষ্কার হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গাঁজা সেবনের মতো অবৈধ কর্মকাণ্ডের কারণে এ ধরনের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। তারা আশা করছেন, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।
এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় শোক ও আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। পরিবারের সদস্যরা হতভম্ব এবং স্থানীয়দের মধ্যে দুঃখ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পুলিশ এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে।