প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৭
ফরিদপুর-৪ আসনের দুটি ইউনিয়ন বিচ্ছিন্ন করার প্রতিবাদে ও পুনর্বহালের দাবিতে তৃতীয় দফায় পঞ্চম দিনে ভাঙ্গায় মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ অব্যাহত রয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলমান এই অবরোধের কারণে ঢাকা-খুলনা ও ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রী ও চালকদের ভোগান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে ভাঙ্গা উপজেলার পুখুরিয়া বাসস্ট্যান্ড, হামিরদী, মুনসুরাবাদ এবং ভাঙ্গা হাসপাতাল মোড়ে এলাকাবাসী গাছের গুঁড়ি ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পুলিশের পাশাপাশি এপিবিএন ও সেনাবাহিনী মাঠে অবস্থান করছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা পুনর্বহালের দাবি করছে। আন্দোলনকারীরা আগামী ১৪ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
অবরোধের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যান চলাচলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটেছে। মহাসড়কের এই অংশ এড়িয়ে বিকল্প পথে যাত্রী ও পরিবহন চলাচল করায় সময় ও ব্যয় বাড়ছে। সাধারণ যাত্রীরা তীব্র অসুবিধায় পড়েছেন এবং নিরাপত্তা ঝুঁকিও বৃদ্ধি পেয়েছে।
অঞ্চলের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুটি ইউনিয়ন পুনর্বহাল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তাদের দাবি, সরকার ও নির্বাচন কমিশন যেন দ্রুত এই ইউনিয়নগুলো পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়।
স্থানীয় প্রশাসন অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য বারবার চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীরা নিজেদের অবস্থান মেনে নিতে নারাজ। তারা বলছেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই তাদের দাবি মানানো সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অবরোধের ফলে স্থানীয় অর্থনীতি ও যাতায়াতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করলেও স্থানীয় জনসাধারণের ক্ষোভ কমানো চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
অবশ্য আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাদের লক্ষ্য সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে দাবি পৌঁছে দেওয়া এবং ভোটের পূর্বে ইউনিয়নগুলো পুনর্বহাল করা, যাতে ফরিদপুর-৪ আসনের ভোটপ্রক্রিয়ায় স্থানীয় মানুষের অধিকারের ক্ষতি না হয়।