প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৫, ১১:৩০
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতায় অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল রবিবার প্রকাশিত হয়েছে। এতে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। মোট ৯২,৬৭৬ জন শিক্ষার্থী ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছিলেন, যাদের মধ্যে অনেকেই একাধিক বিষয়ে আবেদন করেছেন। মোট ২ লাখ ২২ হাজার ৫৩৩টি খাতা পুনঃনিরীক্ষার জন্য জমা পড়েছিল।
পুনঃনিরীক্ষার ফলাফলে দুই হাজার ৯৩৫ জনের ফল পরিবর্তিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৯৩ জন ফেল থেকে উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে তিনজন ফেল থেকে সরাসরি জিপিএ-৫ পেয়েছেন। নতুন করে জিপিএ-৫ অর্জন করেছেন ২৮৬ জন শিক্ষার্থী। ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানান, গত ১১ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ করা হয়েছিল এবং প্রতি বিষয়ে ১৫০ টাকা ফি দিয়ে রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করেছিল।
ফলাফল জানা এখন অনেক সহজ হয়েছে। শিক্ষার্থীরা মোবাইল থেকে এসএসসি লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর, রোল নম্বর ও পরীক্ষার বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে তাদের ফলাফল এসএমএসের মাধ্যমে দ্রুত পৌঁছে যাবে। মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের পরীক্ষার্থীরাও নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবেন।
মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রি-রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রি-রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে ফলাফল পেয়ে যাবেন। কারিগরি বোর্ডের পরীক্ষার্থীরাও এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবেন।
এই পুনঃনিরীক্ষণ প্রক্রিয়া শিক্ষার্থীদের জন্য দ্বিতীয় সুযোগ হিসেবে কাজ করেছে, যা অনেকের জন্য হতাশা দূর করে নতুন আশা সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থীরা পুনঃনিরীক্ষণের মাধ্যমে তাদের সঠিক মেধা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
ঢাকা বোর্ডের এই ফলাফল প্রকাশ শিক্ষাবোর্ডে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এ সুযোগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং ভবিষ্যতে এরকম আরও কার্যক্রম চালানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
পরীক্ষার নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এই ধরনের উদ্যোগ শিক্ষাবোর্ডের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পায় এবং শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নত হয়।