প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ২১:২০
দেশব্যাপী শিশু-কিশোরদের জন্য নির্ধারিত টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি এক মাসেরও বেশি সময় পিছিয়েছে। স্বাস্থ্য সহকারীদের আন্দোলনের কারণে ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্পেইনটি এখন ১২ অক্টোবর থেকে শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) ব্যবস্থাপক ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীরা মাঠে না থাকলে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব নয়। আন্দোলনের কারণে সময়মতো প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়নি, তাই নতুন সূচি অনুযায়ী কার্যক্রম পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ডা. শাহাবুদ্দিন আরও জানান, ১৪ আগস্ট এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং ১৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিক চিঠি ইস্যু করা হবে। নতুন সূচি অনুযায়ী মোট ১৮ কর্মদিবস এই কার্যক্রম চলবে। এর মধ্যে প্রথম ১০ কর্মদিবস বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ক্যাম্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।
পরবর্তী আট কর্মদিবস টিকাদান কেন্দ্রে পরিচালিত হবে। এতে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত বা স্কুলে না যাওয়া শিশুদের টিকা দেওয়া হবে। নতুন সূচি অনুযায়ী নিবন্ধন ও কার্ড দেওয়ার নিয়ম আগের মতোই বহাল থাকবে। জন্ম নিবন্ধন সনদ ছাড়াও বাবা-মায়ের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে অনলাইনে নিবন্ধন করা যাবে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ৯ মাস থেকে ১৫ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশু-কিশোরকে এই টিকা দেওয়া হবে। এক ডোজ ইনজেকটেবল টিকা শিশুদের ৩ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে।
ইপিআই’র কর্মকর্তারা বলছেন, সময়মতো টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্ন করা জরুরি। স্বাস্থ্য সহকারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে কার্যক্রম পরিকল্পনা অনুযায়ী সম্পন্ন হবে এবং দেশের শিশুদের মধ্যে টাইফয়েড প্রতিরোধ কার্যকর হবে।
টিকাদান কর্মসূচির পেছানোর ফলে স্কুল প্রশাসন ও অভিভাবকদের সাথে সমন্বয় করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এতে কোনো শিশুই টিকা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হবে না।
সার্বিকভাবে, নতুন সূচি অনুযায়ী কার্যক্রমটি সময়মতো শুরু হলে দেশের শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।