বিয়েতে এবার বরের গলায় সাপের মালা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার ৩রা জুলাই ২০২২ ০৬:৩৩ অপরাহ্ন
বিয়েতে এবার বরের গলায় সাপের মালা!

‘রোজ কত কী ঘটে যাহা তাহা’…। আর তেমনই কিছু অদ্ভুত এবং উদ্ভট ঘটনার কথা শোনাব আজ আপনাদের। সম্প্রতি একটি কুমিরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন মেক্সিকোর সানপেদ্রো শহরের মেয়র। এ নাকি তাঁদের প্রাচীন রীতি। তবে তা দেখে রীতিমতো চোখ কপালে উঠেছিল নেটিজেনদের। এমন অনেক ঘটনাই ঘটে আমাদের আশপাশে, যা দেখে বিস্ময়ের সীমা থাকে না আমজনতার। আজ রইল তেমনই কিছু ঘটনার কথা।


‘অবাক পৃথিবী অবাক করলে তুমি’… – কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের সেই বিখ্যাত লাইনটির কথাই মনে করিয়ে দেবে এইসব ঘটনা। তিনি অবশ্য অবাক হয়েছিলেন যে কারণে, তার থেকে কিন্তু সব দিক থেকেই আলাদা এই সমস্ত ঘটনাবলী। তবে অবাক করার বিষয়ে কোনও অংশে কম যায় না এগুলিও। কী কী রয়েছে সেই তালিকায়, শুনে নিন।

বিয়ের সময়ে প্রায় সব ধরনের বিয়েতেই নানাবিধ আচার-নিয়ম পালন করা হয়। বেশ কিছু নিয়মে পার্থক্য থাকলেও বরমালা পরানোর ব্যপারটা কিন্তু বেশ চালু সব ধরনের বিয়ের ক্ষেত্রেই। তবে সেই বরমালা সাধারণত ফুল দিয়েই তৈরি হয়। 


বেশ কিছু জায়গায় টাকার মালা পরানোরও রীতি আছে। তাই বলে সাপ! এ যে সাক্ষাৎ সর্পতে রজ্জুভ্রম। হ্যাঁ, এমনই আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল মহারাষ্ট্রের বীড় জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে। সেখানে বর বধূ একে অপরের গলায় পরিয়ে দিয়েছিলেন জ্যান্ত সাপের মালা। বেহুলা-লখিন্দরের বাসরঘরে গোপনে ঢুকে পড়েছিল সাপ। আর এই দম্পতি যে রীতিমতো নিমন্ত্রণ করে ডেকে এনেছিলেন বিষধরকে। যা দেখে আঁতকে উঠেছিলেন নেটদুনিয়া থেকে শুরু করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরাও।


শুধু বিয়েতে নয়, দাম্পত্যেও যে কিছু কম অদ্ভুত ঘটনা ঘটে না, তারও প্রমাণ আছে। কম্বোডিয়ার এক ৭৪ বছরের মহিলার কথাই ধরুন না..! স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি ফের বিবাহ করার সিদ্ধান্ত নেন। তাতে সমস্যা ছিল না, কিন্তু তিনি বিয়ে করে বসেন একটি বাছুরকে। ওই মহিলার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, তাঁর স্বামীরই পুনর্জন্ম হয়েছে ওই বাছুরের মধ্যে দিয়ে । স্বামীর মতো করেই বাছুরটির যত্নআত্তিও করতেন ওই মহিলা। সেই আদর নাকি ফিরিয়ে দিতেন বাছুররূপী স্বামীও।


সাপ নিয়ে ছেলেখেলা শুধু বরমালাতেই থেমে থাকেনি। মার্কিন এক মহিলা তো পোষা পাইথনটিকে কানের দুল করে ঘুরে বেড়াতেন। তাঁর জন্য মস্ত করে কানও বিঁধাতে হয়েছিল তাঁকে। সাপকেই গার্টারের মতো ব্যবহার করে চুল বাঁধতেন অন্য এক মহিলা। সেই ছবিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এক ফরাসি মহিলা আবার কুমিরের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে পড়েছিলেন বেজায় বিপাকে। তা কুমিরটি বিরক্ত হয়ে কামড়ে দিতে যাচ্ছিলেন মহিলার বাম পায়ে। অল্পের জন্য রক্ষা পান ওই মহিলা।

এ তো গেল জীবজন্তুকে কেন্দ্র করে ঘটা অদ্ভুত ঘটনা


। এবার আসা যাক অন্যরকম আশ্চর্য ঘটনায়। ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে এখনও লিঙ্গ বা ধর্মের উল্লেখ করতে হয়। তবে পাটনার ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে একবার ঘটেছিল অদ্ভুত এক ঘটনা। সেখানে একটি অ্যাপ্লিকেশনে মহিলা আবেদনকারীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁরা কুমারী কিনা! কী ভাবছেন এখানেই শেষ? বেশ কিছু অদ্ভুত উত্তরও পেয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। এক জন যেমন লিখেছিলেন, আমি বিবাহিত, এবং আমার একাধিক স্ত্রী রয়েছেন। অন্য একজন তো রীতিমতো তিনটি বিকল্প তুলে দেন কর্তৃপক্ষের হাতে। তিনি জানান, হয় তিনি অবিবাহিত, নয় বিধবা নয়তো কুমারী। বুঝুন কাণ্ড।


আস্তিক-নাস্তিকের দ্বন্দ্ব তো চিরন্তন। তবে কারওর কারওর ঈশ্বরভক্তি মাঝেমধ্যেই এমন সীমা টপকে যায়, যে তাঁরা এমন অনেক কিছুই করে বসেন, যা বেশ অদ্ভুতই। অনেকেই ভগবানকে বাড়ির ছোট ছেলেটির মতো করে দেখেন। তাই চকলেট থেকে শুরু করে সমস্ত প্রিয় বস্তুই অর্পণ করে বসেন ভগবানের চরণে। তাই বলে ভগবানের ঠান্ডা লাগা আটকাতে ইলেকট্রিক হিটারের ব্যবস্থা! হ্যাঁ, তেমনটাও হয়েছে। অযোধ্যার জানকী ঘাট বড় স্থান মন্দিরে দেবমূর্তির জন্য করা হয়েছে তেমনই ব্যবস্থা। এমনকী সেখানে মূর্তিকে স্নান করানো পর্যন্ত হয় গরম জলেই।


সাধে কি আর বলে, ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু’। উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরপুরের একটি গোশালায় একবার জন্ম হয়েছিল এমন একটি বাছুরের, যার সঙ্গে নাকি মানুষের প্রভূত মিল ছিল। তবে বিশ্বাসীরা ধরেই নেন, এ সাধারণ ঘটনা নয়। ভগবান বিষ্ণুরই অবতার সেই বাছুরটি। ব্যাস, শুরু হয়ে যায় পুজোআচ্চাও। তবে জন্মের কয়েক ঘণ্টার মাথায় মারা যায় সেই শাবকটি।


আরও মজাদার কয়েকটি কাণ্ড শুনুন তবে। তুরস্কের একটি এলাকায় একটি সরকারি ঘোষণার সময়ে লাউডস্পিকারে নাকি বেজে উঠেছিল একটি পর্ন ছবির সাউন্ডট্র্যাক। যা শুনে চমকে ওঠেন স্থানীয় নাগরিকেরা। বুঝতেই পারছেন, স্থানীয় প্রশাসনের জন্য ব্যাপারটি খুব একটা সুখকর হয়নি।


এর চেয়েও অদ্ভুত কাণ্ড ঘটেছে বৈকি দুনিয়ায়। লন্ডনের মার্কিন দূতাবাস নাকি একবার সন্ত্রাস সংক্রান্ত তদন্তের জন্য একটি মাস তিনেকের শিশুকে সমন করে বসে। এমনকি তাকে জঙ্গি বলেও দাগিয়ে দেওয়া হয়। ভাবতে পারেন! তা এমন সব মজাদার এবং অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড দেখে আপনি হাসবেন না কাঁদবেন সেই সিদ্ধান্ত কিন্তু আপনারই। তবে এই সমস্ত ঘটনাতেই প্রবল মজা পেয়েছিলেন নেটিজেনরা। বিস্তর ভাইরালও হয়ে গিয়েছিল সেসব ঘটনা।