প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১১:৫২
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসকের দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনকালে বাংলাদেশে মানুষকে যে নিপীড়ন, অত্যাচার ও নৃশংসতার মুখোমুখি হতে হয়েছে, তার প্রতিবাদে ছাত্র-জনতা এগিয়ে এসেছে। মানুষের দীর্ঘ সময়ের অসহায়তা, হত্যাযজ্ঞ, গুম-খুন ও দুর্নীতির প্রতিক্রিয়ায় এ আন্দোলন জন্ম নিয়েছে।
মাহফুজ আলমের বক্তব্যে জানানো হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে এক বিশেষ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। দূতাবাস থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে শহীদ ও আহতদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট সদস্য, কংগ্রেসম্যান, স্টেট ডিপার্টমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন।
মাহফুজ আলম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশে বৈষম্য দূর করা এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করা। এই বন্দোবস্তের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা সম্ভব হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক মতাদর্শে ভিন্নতা থাকলেও একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’ প্রদর্শিত হয়। এতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। দর্শকরা এই তথ্যচিত্রের মাধ্যমে আন্দোলনের চেতনাকে পুনর্জাগ্রত করতে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অংশগ্রহণের প্রেরণা পেয়েছেন।
প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আন্দোলনের স্মৃতিচারণা এবং গণতান্ত্রিক চেতনার পুনর্জাগরণের মাধ্যমে ভবিষ্যতের জন্য দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করার প্রতিজ্ঞা করেছেন।
মাহফুজ আলম বলেন, জনগণের ঐক্য, ধৈর্য এবং অদম্য চেতনা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান সেই চেতনার শক্তিশালী নিদর্শন।
বাংলাদেশ দূতাবাসের এই অনুষ্ঠান প্রমাণ করে, প্রবাসী বাংলাদেশিরা ও শিক্ষার্থীরা দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের স্মৃতিকে জীবন্ত রাখার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এই চেতনাই আগামী প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মরণ ও চেতনার পুনর্জাগরণে দেশের এবং প্রবাসের শিক্ষার্থী, নাগরিক ও কূটনীতিকদের অংশগ্রহণ আগামী দিনের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের পথ প্রশস্ত করবে।