প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:৫৫
ফরিদপুরের সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ ইস্যুতে বিভিন্ন স্থানীয় জনগণ রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে, যার ফলে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পূর্বে যে দুটি ইউনিয়ন ওই সংসদীয় আসনে ছিল, তা নতুন আসনে স্থানান্তরিত হওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোর কমিটির সভার পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, রাস্তা অবরোধ করার অধিকার কারো নেই। তিনি উল্লেখ করেন, লাখ লাখ মানুষকে জিম্মি করে রাখা কোনো অবস্থায় বরদাশত করা হবে না।
উপদেষ্টা আরও বলেন, যদি বিকেলের মধ্যে অবরোধ তুলে না নেওয়া হয়, তাহলে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে। তিনি জানান, কোর কমিটির সভায় দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পুলিশের প্রশিক্ষণ এবং আসন্ন নির্বাচনসহ সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে।
ফরিদপুরের দুটি ইউনিয়ন নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এটি সম্পূর্ণরূপে নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম। তারা যুক্তি-তর্কের পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এলাকায় এর ফলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য।
উপদেষ্টা বলেন, এই ধরনের ক্ষোভ থাকলে সেটি যথাযথ চ্যানেলের মাধ্যমে জানানো প্রয়োজন। জনগণকে রাস্তা ও নৌপথে হরতাল বা অবরোধের মাধ্যমে অসুবিধার মধ্যে ফেলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এছাড়া পাবনার বেড়া উপজেলায়ও সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে হরতাল চলছে, যেখানে সড়ক ও নৌপথ অবরোধের খবর পাওয়া গেছে। একই ধরনের আন্দোলন চলছে বাগেরহাটে-৩ আসনের জন্য, যেখানে স্থানীয়রা অফিস ও আদালত অবরোধ করে আসন ফিরে পাওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।
ফরিদপুরের এই পরিস্থিতি দেশের অন্যান্য জেলাতেও প্রভাব ফেলেছে। সরকারের পক্ষ থেকে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে দমনমূলক অবস্থার মুখোমুখি না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এভাবে নির্বাচনের সীমানা পরিবর্তনের বিরোধ ও জনদুর্ভোগের ঘটনা সমাধানের জন্য সরকারের সতর্ক বার্তা এসেছে, যা ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।