খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মঙ্গলবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাবের এক বার্তায় নিশ্চিত করা হয়েছে।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২২ সালে খুলনার ফুলতলা এলাকায় সংঘটিত হামলা, আক্রমণ ও হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় মুর্শেদীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই মামলায় তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছিল, যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছিল। মুর্শেদী ছিলেন একজন প্রভাবশালী রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো নিয়ে ব্যাপক জনমত তৈরি হয়।
এ ঘটনা দেশের রাজনীতিতে আরও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, বিশেষত গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ত্যাগের পর থেকে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই আত্মগোপনে চলে গেছেন এবং বিভিন্ন জায়গায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নামে ইতোমধ্যেই শতাধিক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে, যেখানে দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নামও যুক্ত হয়েছে।
ক্ষমতা পরিবর্তনের পর থেকে সাবেক সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন, যা রাজনৈতিক মহলে চাপ বাড়িয়ে তুলেছে। মুর্শেদীর গ্রেপ্তার সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো দলের জন্য বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনা বর্তমান ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন বাস্তবতা তৈরি করেছে। গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া এবং তাদের বিচার দেশীয় রাজনীতিতে আরও অস্থিরতা তৈরি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশজুড়ে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলোও একইভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
মুর্শেদীর গ্রেপ্তারের পর তার পরিবার ও দলীয় নেতারা এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।